সংবাদদাতা, বাঁকুড়া:- দীর্ঘ দিন ধরে খোলা আকাশের নিচে চলছে পড়াশোনা, রান্নার জায়গা বলতে পার্শ্ববর্তী সুভাষপল্লী প্রাথমিক বিদ্যালয় অ্যাডবেস্টার এর একটি চালা, চাল, ডাল রাখার কোন জায়গা নেই, এমতবস্থায় দিনের পর দিন ধরে চলছে আইসিডিএস কেন্দ্রটি, কোনরকম ভ্রুক্ষেপ নেই প্রশাসনের। এমনই ছবি ধরা পড়ল আমাদের ক্যামেরায় এ ছবি বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর ব্লকের দ্বারিকা পঞ্চায়েতের সুভাষপল্লী গ্রামের আইসিডিএস কেন্দ্রের। যেখানে দেখা যাচ্ছে রীতিমতো খোলা আকাশের নিচেই ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াতে হচ্ছে আইসিডিএস কেন্দ্রের দিদিমণি রেবা রায়কে। গ্রীষ্ম বর্ষা শরৎ হেমন্ত শীত ও বসন্ত বছরের ছয়টি ঋতু এই ভাবে পার করেন কেন্দ্রের দিদিমণি ও ক্ষুদে ছাত্র-ছাত্রীরা। এছাড়াও ইস্কুলে নেই চালডাল রাখারও কোন জায়গা। রান্নাঘরের জায়গা বলতে একটি অ্যাডবেস্টার এর চালা তা-ও সেটি পার্শ্ববর্তী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। সেখানেই কোনরকমে রান্নাবান্না করতে হচ্ছে। পাশেই রয়েছে একটি সুভাষপল্লী প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেই বিদ্যালয়ের একটি ঘরে রাখা হয় চাল ডাল। এছাড়াও বর্ষাকালে সমস্যায় পড়তে হয় আরো বেশি পরিমানে। সে সময় বৃষ্টির কারণে অনেক ছেলেমেয়ে আইসিডিএস কেন্দ্রে আসতে চায় না এবং যারা আসেন তাদের খাওয়া-দাওয়া করতে যেমন অসুবিধায়, তেমনি অসুবিধায় পরতে হয় পড়াশোনা করতে ফলে বন্ধ থাকে পঠন-পাঠন। দারুণ সমস্যার মধ্য দিয়ে এই মুহূর্তে আইসিডিএস কেন্দ্রটি অতিবাহিত হচ্ছে। আইসিডিএস কেন্দ্রের দিদিমণি রেবা রায় বলেন, এখানে খুবই অসুবিধার মধ্যে রয়েছি। রান্নার জায়গা নেই বসার জায়গা নেই ফাঁকা জায়গায় বসতে হয়। বৃষ্টি হলে খুবই অসুবিধা হয়। এই সমস্যা নিয়ে অনেকবার বিডিও অফিসে বা পঞ্চায়েতে দরখাস্ত করেছি জানিয়েছি। সেই ৪ বছর ধরে তারা বলছে সেংসন হয়ে গেছে। তবে এখনো পর্যন্ত কিছুই হচ্ছে না। বাচ্চাদের খাওয়া দাওয়ার অসুবিধা হয় বলে তিনি জানান। তবে আগামী দিনে খুব দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা হলে খুবই উপকৃত হবে বলে তিনি সরকারের কাছে আবেদন করেন। পড়ুয়াদের এক অভিভাবক লক্ষণ কীর্তনীয়া বলেন, যে সমস্ত বাচ্চারা পড়াশোনা করে তাদের স্থায়ী কোনো স্কুল নেই, বর্ষাকালে রান্নাবান্নার অসুবিধা হয়, পড়াশোনার অসুবিধা হয়। তাই অতি দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হলে খুবই ভালো হয়। দ্বারিকা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অনিমা দে বলেন, আমি প্রধানকে জানিয়েছি ভিডিও কে জানিয়েছি খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে। তবে আশ্বস তো পাওয়া গেল কিন্তু কবে আইসিডিএস কেন্দ্রের কাজ শুরু হবে, কবে ছেলেমেয়েরা সুস্থ পরিবেশে পড়াশোনা করতে পারবে, আর কতদিন পর ঝড়ঝঞ্জা বৃষ্টিতে আর কষ্ট করতে হবে না সে প্রশ্নের উত্তর তো সময় বলবে।