জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জীঃ- লোকসভা নির্বাচনের ফল বের হওয়ার চারদিন পর সাংবাদিক সম্মেলন করলেন আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র থেকে পরাজিত বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। নির্বাচন চলাকালীন কোনো অভিযোগ না করলেও নিজের হারের পেছনে ভুয়ো ভোটারের প্রসঙ্গ টানেন তিনি। পাশাপাশি তিন শতাধিক বুথে দলের এজেন্ট না থাকায় সেখানে ছাপ্পা ভোট হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। অভিযোগ সম্পর্কে জেলার নির্বাচনী আধিকারিকদের উত্তর সঠিক বলে মনে হয়নি। যদিও দলীয় স্তরে কি ধরনের খামতি ছিল সেটা তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে স্পষ্ট করেননি।
ভূমিপুত্র হিসাবে এই কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য দলের হাইকমান্ডকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন ঘোষণা করার আগেই তিনি আসানসোল, বর্ধমান-দুর্গাপুর ও বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রে প্রায় ১ লক্ষ জাল ভোটারের প্রমাণ তিনি নির্বাচন কমিশনের হাতে তুলে দিলেও তাদের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যদিও সর্বদলীয় বৈঠকে ভুয়ো ভোটারের প্রসঙ্গ কেন তোলা হয়নি- সাংবাদিকদের এই প্রশ্ন তিনি এড়িয়ে যান। যারা তাকে ভোট দিয়েছেন ও যারা দেননি তাদের প্রত্যেককে তিনি ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এখানকার বিভিন্ন সমস্যার অন্যতম হলো বন্ধ কারখানা খোলা, পানীয় জল সমস্যা, পরিবেশ দূষণ, কয়লাখনি এলাকার ধস ও পুনর্বাসন ইত্যাদি। এই সব সমস্যার সমাধান নিয়ে তার মাথায় বিভিন্ন পরিকল্পনা থাকলেও সেগুলো পূরণ করার উপায় নাই বলে তিনি আক্ষেপ করেন। তার দাবি, বাংলায় এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্রে বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটতে দেখা গেলেও আসানসোল ছিল পুরোপুরি শান্ত। তবে কি আসানসোলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে – সরাসরি কোনো জবাব দেননি।
৮ ই জুন আসানসোলের বার্ণপুর রোডের কোর্ট মোড সংলগ্ন বিজেপির দলীয় অফিসে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে যখন তিনি এইসব অভিযোগ করেন তখন তার পাশে উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়, কুলটির বিধায়ক ডা. অজয় পোদ্দার, প্রশান্ত চক্রবর্তী প্রমুখ। যদিও বিজেপি প্রার্থীর এইসব দাবিকে গুরুত্ব দিতে চাননি তৃনমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ভি শিবদাসন দাসু। বিজেপি প্রার্থীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, আসল কথা বিজেপির এখানে কোন সংগঠনই নাই। তাই এলাকার মানুষ তাদের ভোট দেননি।