জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, মঙ্গলকোট, পূর্ব বর্ধমান -: আগামী বছর জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মহিলাদের জাতীয় ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতা। দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে প্রতিযোগীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। এই রাজ্যের প্রতিনিধি হিসাবে যারা অংশগ্রহণ করতে চলেছে তাদের অন্যতম হলেন মঙ্গলকোটের ভাল্যগ্রামের স্নিগ্ধা সাহা। প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্যতা অর্জন করেও উচ্ছ্বসিত হওয়ার পরিবর্তে করাশ হতাশা গ্রাস করে ফেলে স্নিগ্ধাকে। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য যে খরচ হবে সেটা বহন করার মত আর্থিক সামর্থ্য তার পরিবারের নাই। ঘটনাটি কানে আসে মঙ্গলকোটের জনদরদী বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরীর কানে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি মেয়েটির দিকে আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন ও তার সাফল্য কামনা করেন। পাশাপাশি ভবিষ্যতেও তাকে সমস্তরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বিধায়ককে পাশে পেয়ে আপ্লুত হয়ে ওঠে স্নিগ্ধা ও তার পরিবারের সদস্যরা। বেঙ্গালুরু যাওয়ার আর্থিক সমস্যা দূর হওয়ায় স্নিগ্ধার চোখেমুখে খেলে যায় আলোর ঝিলিক। স্নিগ্ধা বললেন, যোগ্যতা অর্জন করার পরও আর্থিক কারণে যেতে পারবনা এটা ভেবেই মানসিক দিক দিয়ে খুব ভেঙে পড়েছিলাম। এখন বিধায়ককে পাশে পেয়ে খুব ভাল লাগছে। সফল হওয়ার জন্য এখন শুরু করব কঠোর পরিশ্রম। আমার রাজ্যের পাশাপাশি বিধায়ক, আমার গ্রাম ও শুভানুধ্যায়ীদের সম্মান রাখার মরিয়া চেষ্টা করব। তিনি আরও বললেন, এরপর আমার লক্ষ্য আন্তর্জাতিক ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা। আশাকরি সেদিনও সবার সহযোগিতা পাব। যারজন্য আজ সে এই জায়গায় এসে পৌঁছেছে কাটোয়ার সেই ক্যারাটে প্রশিক্ষক সেনসাই আকাশ হাজরার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে স্নিগ্ধা ভুল করলেননা। তার বক্তব্য, ক্যারাটে কোর্টে সবাই আমাকে লড়াই করতে দেখছেন ঠিকই কিন্তু আমার ক্যারাটে প্রশিক্ষক না থাকলে কখনোই এটা সম্ভব হতোনা। অন্যদিকে বিধায়ক বললেন, স্নিগ্ধার মত আমাদের গ্রাম বাংলায় অনেক প্রতিভা আছে। আর্থিক ও অন্যান্য কারণে তারা তাদের প্রতিভার বিকাশ ঘটনোর সুযোগ পায়না। এলাকার একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে আমি স্নিগ্ধার পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। প্রসঙ্গত এর আগেও বিধায়ক এইভাবে বিভিন্ন জনের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।