জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, মঙ্গলকোট, পূর্ব বর্ধমান -: গ্রীষ্মকালের আবির্ভাবের সঙ্গে সঙ্গে প্রায় প্রতিবছর রাজ্যের ব্লাড ব্যাংকগুলিতে রক্তের ঘাটতি দেখা যায়। চরম সমস্যায় পড়ে যায় মুমূর্ষু রুগীদের পাশাপাশি থ্যালেসামিয়ায় আক্রান্ত রুগীর পরিবারের সদস্যরা। সমস্যার সমাধানে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে আয়োজিত হয়ে চলেছে রক্তদান শিবিরের। এই মহতী উদ্যোগে সামিল হন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেস চেয়ারম্যান তথা মঙ্গলকোট বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী (অচল)।
তার উদ্যোগে এবং স্থানীয় তৃণমূল কর্মী ও সাধারণ মানুষের সক্রিয় সহযোগিতায় ১৯ শে এপ্রিল কৈচরের বিধায়ক কার্যালয়ে এক স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। বর্ধমানের ক্যামরি নামক একটি বেসরকারি হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক শাখার সহযোগিতায় শিবির থেকে মোট ২০০ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করা হয়। এদের মধ্যে মহিলা ছিলেন ৪০ জন। সমস্ত রকম কুসংস্কার দূরে সরিয়ে বেশি সংখ্যক মুসলিম সম্প্রদায়ের মহিলা শিবিরে রক্তদান করতে এগিয়ে আসেন। মহিলাদের সংখ্যাটা আরও বেশি হতে পারত। কিন্তু রক্তদান করতে এসে বিভিন্ন কারণে অনেকেই রক্তদান করতে পারেননি। তাদের মধ্যে বিষণ্নতা দেখা যায়। ছিলেন ইমাম সাহেব। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষের উপস্থিতিতে রক্তদান শিবির পরিণত হয় সম্প্রীতির শিবিরে। সংগৃহীত রক্ত সংশ্লিষ্ট ব্লাড ব্যাংক কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়। রক্তদাতাদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য শিবিরে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জ্জী, সাংসদ অসিত মাল, বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী সহ তৃণমূল ব্লক নেতৃত্ব ও আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি। রক্তদাতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বিধায়ক বলেন, দলনেত্রীর আদর্শ অনুসরণ করে আমরা প্রতি বছর বিধায়ক কার্যালয়ে একাধিক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে থাকি। এছাড়া সেবামূলক কাজ তো থাকেই। সম্প্রতি দেশজুড়ে যেভাবে সাম্প্রদায়িক হিংসা মাথাচাড়া দিচ্ছে সেখানে এই রক্তদান শিবিরে সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষের উপস্থিতি এই রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা বহন করে। আবার প্রমাণিত হলো রক্তের কোনো জাত নাই।





