নীহারিকা মুখার্জ্জী চ্যাটার্জ্জী, মানকুণ্ডু, হুগলি -: সাহিত্যকে ভালবেসে আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে সাহিত্যচর্চা করার জন্য বিশিষ্ট কবি-সাহিত্যিক অসিত কুমার রায় গড়ে তোলেন ‘অলকানন্দা’ সাহিত্য পরিবার। পাশে পেয়ে যান একগুচ্ছ সাহিত্যপ্রেমীদের। সম্প্রতি হুগলির মানকুণ্ডুর আম্রকুঞ্জে আয়োজিত হয় সংশ্লিষ্ট সাহিত্যচর্চা গোষ্ঠীর সাহিত্যচর্চা সম্মেলন। প্রায় পঞ্চাশাধিক কবি-সাহিত্যিকের উপস্থিতিতে সেটি কার্যত মিলনমেলায় পরিণত হয়।
কবিতা পাঠ, সঙ্গীত, নৃত্য, শ্রুতি নাটক পরিবেশন, সাহিত্য সংক্রান্ত আলোচনা – সব মিলিয়ে সারাদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানটি অন্য উচ্চতায় পৌঁছে যায়।
তারা দে, প্রদীপ শর্মা সরকার, বাসুদেব সরকার, লোপামুদ্রা মুখার্জি, অভয় রায়, সুপ্রিয় বিশ্বাস, নন্দী সুমন, সুস্মিতা পাল প্রমুখদের কবিতা পাঠ উপস্থিত শ্রোতাদের মুগ্ধ করে। সন্নিধি রায়, শিল্পা কোলে নন্দী, অদিতি রায় পরিবেশিত অসাধারণ নৃত্য দর্শকদের অবাক করে দেয়।
অশ্রুকনা দাস, আশালতা মাইতি, জয়ন্তী চ্যাটার্জী ও লোপামুদ্রা মুখার্জী অভিনীত নাট্য আলেখ্য ‘পূর্বাভাস’ ছিল অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণীয় অংশ। এটির পরিচালনা ও শব্দ চয়নে ছিলেন লোপামুদ্রা মুখার্জী। তার নির্দেশনায় প্রতিটি শিল্পী যথাযথভাবে নিজ নিজ ভূমিকা পালন করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত কবি-সাহিত্যিকদের হাত ধরে অসিত কুমার রায় রচিত ‘উজান গাঙে ভাটিয়ালি’ কাব্য গ্রন্থটি দিনের আলোর মুখ দ্যাখে। ‘আত্তিকী একটি প্রয়াস’ সাহিত্য পত্রিকা গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে সংস্থার সদস্য বিশ্বনাথ চৌধুরী, অশ্রুকনা দাস ও আশালতা মাইতি কবি-সাহিত্যিক অসিত কুমার রায় সহ ‘অলকানন্দা’ র অন্যান্য কর্ণধারদের সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করেন।
এর আগে প্রদীপ প্রজ্বলন ও কেক কেটে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন শ্রীমতি তারা দে, অসিত কুমার রায় প্রমুখ। তাদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দ্যান অন্যান্যরা।
নন্দী সুমন, সুপ্রিয়া বিশ্বাস ও সুস্মিতা পালের দক্ষ হাতে মঞ্চ পরিচালনা সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
অসিত বাবু বলেন, সুস্থ সাহিত্যচর্চা করার লক্ষ্যে ‘অলকানন্দা’ গড়ে তুলি। এই মুহূর্তে দাবি করতেই পারি আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। এরজন্য এই গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকেই কৃতিত্বের দাবি করতে পারে। তারজন্য আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ।