নিজস্ব প্রতিনিধি, দুর্গাপুরঃ- মেরামতির দরুন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার আগাম নির্ঘণ্ট প্রকাশ করে নিজেই নিয়ম ভাঙল দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষ। ফলে, ভোগান্তির শিকার হলেন সাধারন আবাসিক থেকে ব্যবসায়ীরা। এই নিয়ে দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর এ-জোন, বি-জোন আর সি – জোনে মানুষের ক্ষোভ – বিরক্তি থাকলেও, সংস্থার বিদ্যুৎ সরবরাহ ও সঞ্চালনা বিভাগ মুখে কুলুপ এঁটেছে।
৫ নভেম্বর থেকে ৬ মার্চের ভেতর চার মাসে ইস্পাত নগরীর বিভিন্ন পাড়ায় মোট ২৩ বার ‘পাওয়ার কাট’ করে শাটডাউন নেওয়া হবে বলে জানায় ডি.এস. পি কর্তৃপক্ষ। তাতে ২৩ দফায় ১২০ দিনের মধ্যে ১০০ দিন ‘পাওয়ার কাট’ র কথা বলা হয়। সংস্থার নগর প্রশাসনের বিদ্যুৎ সরবরাহ বিভাগের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারের জারি করা বিদ্যুৎ-বন্ধের ওই নির্ঘণ্টে ৫ নভেম্বর ৯ (মঙ্গলবার) থেকে পাওয়ার কাট করার কথা বলা হয়, তা সত্বেও, বিনা নোটিশে রবিবার ইস্পাত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সকাল থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করা হয়। তাতেই অসুবিধায় পড়েন সাধারন মানুষ। বিশেষতঃ রবিবার চণ্ডীদাস বাজার এলাকায় আচমকা বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নাকাল হন ব্যবসায়ী থেকে জনসাধারন। নির্ধারিত সময়ের দুদিন আগেই কেন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হল, জানতে চেয়েও সুদুত্তর মেলেনি ডি.এস.পির নগর প্রশাসন থেকে। এরই মধ্যে নগর প্রশাসনের নির্ঘণ্ট অনুযায়ী মঙ্গলবার থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ দফায় দফায় বন্ধের যে সিদ্ধান্ত তা নিয়েও সংশয় দানা বেধেঁছে এলাকাবাসী থেকে ব্যবসায়ী সবার মনে। তাদের প্রশ্ন- ” সূচী প্রকাশ করে সময়ের আগেই যখন পাওয়ার বন্ধ করল, তখন সূচীর সময় শেষ হওয়ার পরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তো?”
কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত নির্ঘণ্ট মোতাবেক, সর্বাধিক ৬ দিন করে ৭ দফায় সরবরাহ বন্ধ থাকবে এ-জোনের ১ নং ফিডারের আত্ততাধীন দুর্গাপুর হাউস, টেগোর হাউস, মীরাবাঈ রোড, ২ নং ফিডারের নিয়ন্ত্রনাধীন আনন্দবিহার, আকবর রোড, হোস্টেল এভিন্যু এবং ১ থেকে ৭ নং ইনকামার লাইনের অধীন ভিরিঙ্গি সিকুরিটি ব্যারাক, সি.এম.ই.আর.আই.কলোনী এলাকায় সরবরাহ বন্ধ রাখার কথা বলা হয় ।
আবার ৫ দিনের জন্য ৮ দফায় বি-জোনের ৩ নং ফিডারসহ হাসপাতাল সরবরাহ ও আর.ই.কলেজ, অ্যান্ডুজ প্লেস এলাকায় সরবরাহ বন্ধের সূচী প্রকাশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে চারদিন সরবরাহ বন্ধ থাকবে চিত্রালয় সিনেমা, মহিস্কাপুর, তীলক রোড, নেহরু স্টেডিয়াম, বিধানভবন এলাকাসহ ১৩ ডিসেম্বর থেকে ১৭ ডিসেম্বর ডেভিড হেয়্যার, পোস্ট এন্ড টেলিগ্রাফ কলোনী, কাশীরাম দাস, মার্কনী ও চন্ডিদাস অ্যাভিন্যুতে।