সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ– দুয়ারে সরকার, দুয়ারে রেশনের পর এবার দুয়ারে চিকিৎসা পরিষেবা। “দুয়ারে অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিসেবা”। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় বিশেষ উদ্যোগ নিল রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর। এবার থেক জেলার প্রত্যন্ত ও পিছিয়ে পড়া এলাকায় ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা কেন্দ্র বা মোবাইল মেডিক্যাল ইউনিট ( এমএমইউ) পৌঁছে যাবে। মানুষকে ছুটতে হবে না হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।
গোটা পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এই ধরনের পাঁচটি ভ্রাম্যমান চিকিৎসা কেন্দ্র চলবে। আসানসোল পুরনিগম এলাকায় চলবে দুটি। রানিগঞ্জ ও অন্ডালের আশপাশের এলাকায় একটি চালানো হবে। এর পাশাপাশি দুর্গাপুর নগর নিগম এলাকা ও পানাগড়ে চলবে একটি করে ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রে রোগী দেখার জন্য যেমন চিকিৎসক থাকবেন, তেমনই নার্স, প্যাথোলজিস্ট থাকবেন। থাকবে ইসিজি ও ল্যাবের ব্যবস্থা। সবকিছুর পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেখে ওষুধ দেবেন চিকিৎসকরা।
এদিন বার্নপুরে এক অনুষ্ঠানে এই ভ্রাম্যমান চিকিৎসা পরিষেবা যানের সূচনা হয়। ফিতে কেটে ও সবুজ পতাকা দেখিয়ে এই বিশেষ যানের উদ্বোধন করেন আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায় ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ ডাঃ ইউনুস। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পুরনিগমের কাউন্সিলররা।
মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্রমাগত মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেবার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যারা পিছিয়ে পড়া এলাকায় থাকেন ও আর্থিকভাবে দুর্বল , তাদের কথা মাথায় রেখে এই ভ্রাম্যমান চিকিৎসা কেন্দ্র শুরু করা হয়েছে।”


















