eaibanglai
Homeএই বাংলায়থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীর পরিবারের পাশে মেমারি প্রেসক্লাব ও বড়শুল কিশোর সংঘ

থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীর পরিবারের পাশে মেমারি প্রেসক্লাব ও বড়শুল কিশোর সংঘ

জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,মেমারিঃ- সংবিধানের চতুর্থ স্তম্ভ হিসাবে সঠিক সংবাদ পরিবেশনের সঙ্গে সঙ্গে সমাজের প্রতি যে একটা দায়িত্ববোধ আছে প্রেস ক্লাব গড়ে ওঠার আগে থেকেই দীর্ঘদিন ধরে তার প্রমাণ দিয়ে চলেছে সদ্য গড়ে ওঠা ‘মেমারি প্রেস ক্লাব’-এর সদস্যরা। বরাবর পাশে পেয়েছে সমাজের প্রতি নিজেদের দায়িত্ব পালন করে চলা বড়শুল ‘কিশোর সংঘ’-কে। এই দুই সংস্থার যৌথ সহযোগিতায় অসহায় গরীব পিতা থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত তার শিশু সন্তানকে সুস্থ করে তোলার ক্ষেত্রে একটা আশার আলো দেখতে পেল।

মেমারি থানার গন্তার চণ্ডীতলার বাসিন্দা রবি পান। মাত্র ছয় মাস বয়সেই তার শিশু কন্যার থ্যালাসেমিয়া ধরা পড়ে। প্রাথমিক অবস্থায় ভেঙে পড়লেও নিজের সন্তানকে সুস্থ করার লক্ষ্যে পেশায় ভ্যান চালক রবি বাবু লড়াই শুরু করেন। মেয়ের চিকিৎসার জন্য গত সাত বছর ধরে কখনো রক্ত কিনে, কখনো ড্রোনার সংগ্রহ করে মেয়েকে রক্ত দিয়ে আসছেন। লক্ষ্য একটাই যেভাবেই হোক মেয়েকে সুস্থ করে তুলতেই হবে।

বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে ভ্যান চলিয়ে পরিবারের খরচ নির্বাহ করে সন্তানের চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া রবি বাবুর পক্ষে কিছুটা সমস্যা হয়ে পড়ে। খবর পেয়েই তার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় বড়শুল কিশোর সংঘ এবং মেমারি প্রেসক্লাবের সদস্যরা।

২৬ শে নভেম্বর সাতসকালে রবিবাবুর বাড়িতে হাজির হন দুই সংস্থার সদস্যরা। রবিবাবুর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কার হাতে আগামী ছয় মাসের রক্তের কার্ড তুলে দেন। পাশাপাশি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তার কন্যার চিকিৎসার যাতে কোন সমস্যা না হয় সে ব্যপারে লক্ষ্য রাখার বিষয়ে তারা পরিবারটিকে আশ্বস্ত করেন। এমনকি মেয়েটির চিকিৎসা সংক্রান্ত ওষুধের খরচ বহন করার জন্য তাকে প্রতিশ্রুতি দেন। যদিও রবিবাবুর স্ত্রী বলেন – আপাতত ওষুধ হাসপাতাল থেকেই পাওয়া যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, মেমারি প্রেস ক্লাব ও বড়শুল কিশোর সংঘ একাধিক বার সামাজিক কাজে ও দরিদ্র পরিবারে পাশে থেকে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে।

বড়শুল কিশোর সংঘের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ক্লাব সম্পাদক পার্থ ঘোষ এবং মেমারি প্রেসক্লাবের সম্পাদক আনোয়ার আলী ও সদস্য সঞ্জয় ব্যানার্জ্জী।

উভয় সংস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রিয়াঙ্কা দেবী বললেন – সন্তানের চিকিৎসার জন্য যেভাবে বহু মানুষের সহযোগিতা পাচ্ছি তাতে আমাদের মনোবল বেড়ে যাচ্ছে। বিশ্বাস করি সবার আশীর্বাদে ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৌলতে আমাদের সন্তান সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবে।

অন্যদিকে আনোয়ার আলী বললেন – আমাদের সদস্যরা খবর সংগ্রহের পাশাপাশি এইধরনের সমস্যার দিকেও নজর রাখে। আমরা ও বড়শুল কিশোর সংঘ যৌথভাবে বিপন্নদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। তিনি সংশ্লিষ্ট ক্লাব কর্তৃপক্ষের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments