eaibanglai
Homeএই বাংলায়ফাগ ছোঁয়া পলাশে

ফাগ ছোঁয়া পলাশে

জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,মেমারিঃ- কয়েকদিন পর রঙের উৎসব দোলে মেতে উঠবে আপামর বাঙালি। পরস্পরকে রাঙিয়ে দেবে আবিরের রঙে। দোলের সঙ্গে মিশে আছে রোমান্টিসিজম। দখিণা বাতাসের সঙ্গে দোলা দিয়ে আসে সে। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিমুল-পলাশে সেজে উঠেছে প্রকৃতি।

বাঙালির রোমান্টিসিজমের আর এক জনপ্রিয় ক্ষেত্র হলো আবৃত্তি। রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দের বাংলায় প্রতিটি বাঙালির মধ্যে লুকিয়ে আছে সুপ্ত কবি প্রতিভা। যেকোনো সময় দু’লাইনের কবিতা মুখে মুখে সে বানিয়ে দিতে পারে। একটা সময় যেকোনো উৎসবের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিল কবিতা- আবৃত্তির আসর। যতই আমরা ডিজিটাল যুগের হাত ধরে মোবাইল কালচারে মেতে উঠিনা কেন আজও কবিতা আমাদের টানে। বাঙালির ভোজের শেষ পাতে দই-মিষ্টির মত আজও কবিতা সমানে তার আকর্ষণ ধরে রেখেছে। দোলের মত রঙিন উৎসবের প্রাক্কালে বা দিনে যদি সেই অনুষ্ঠান হয় তাহলে ‘সোনায় সোহাগা’। সেই চাহিদা মেটাতে এগিয়ে এল মেমারির বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী ব্রততী আলি ঘোষ ও তার আবৃত্তির পাঠশালা ‘ফাগ ছোঁয়া পলাশে’-র ক্ষুদে শিল্পীরা।

বসন্তের মৃদু মন্দ বাতাসের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আগামী ৫ ই মার্চ দুপুরে মেমারির সোমেশ্বর তলা আটচালায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেদিন কথা, আবৃত্তি, সঙ্গীত ও নৃত্যের সুমধুর সুর ও মিষ্টি কলতানে মেতে উঠবে ঋতুরাজ বসন্ত। আবৃত্তি পাঠশালার কচিকাঁচাদের শব্দজাদু সাংস্কৃতিক মনস্ক মেমারিবাসীর হৃদয়ে দোলা দিয়ে যাবে।

বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী ব্রততী দেবী বললেন – দীর্ঘদিন ধরেই আমি এই আবৃত্তি জগতের সঙ্গে যুক্ত। তবে আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই প্রথমবারের জন্য এতবড় একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে চলেছি। আশাকরি দোলের প্রাক্কালে সবার মিলিত সহযোগিতায় মেমারিবাসীরা অন্য আনন্দে মেতে উঠবে।

ইতিমধ্যেই এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে মেমারিতে আনন্দের একটা আলাদা স্রোত বয়ে চলেছে। স্থানীয় ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের মধ্যে আলাদা উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments