জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,মেমারিঃ- গত ৩ রা এপ্রিল এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল মেমারির শোনড়ার বড়পুকুরের বাসিন্দারা। স্বামীর কাস্তের আঘাতে খুন হলো স্ত্রী অণিমা এবং পরে সেই কাস্তে দিয়েই নিজের গলা ও কানে আঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে স্বামী।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যাচ্ছে বছর পাঁচক আগে মেমারির শোনাড়ার অণিমা টুডুর সঙ্গে হুগলির দাদপুর থানার আগড়াপাড়ার লক্ষ্মীরাম হেমরমের বিয়ে হয়। আর্থিক কারণের জন্য বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। যারজন্য অণিমা দেবী শোনাড়াতেই এসে মায়ের কাছে থাকত। মাঝে মাঝে লক্ষ্মীরাম সেখানে আসা-যাওয়া করত। তাতেও দু’জনের মধ্যে অশান্তি কমতনা। ঘটনার দিন রাত ৮.৩০-৯ টা নাগাদ খাওয়াদাওয়ার পর স্বামী-স্ত্রী ঘর বন্ধ করে ঝগড়া করতে থাকে। মেয়ের বাবা বারবার দরজা খুলতে বললেও দরজা না খোলায় প্রতিবেশীদের খবর দেওয়া হয় এবং তারা এসে দরজা ভেঙে দেখতে পায় রক্তাক্ত অবস্থায় অণিমা (২৩) মেঝেতে পড়ে আছে। পাশে কাস্তে নিয়ে দাঁড়িয়ে লক্ষীরাম। প্রতিবেশীরা কিছু বোঝার আগেই সেও হাতের কাস্তে দিয়ে নিজের গলা ও কানের নীচে আঘাত করে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।খবর পেয়ে মেমারি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়। রক্তাক্ত অনিমা টুডু ও গুরুতর জখম লক্ষ্মীরাম হেমরমকে উদ্ধার করে মেমারি হাসপাতালে পাঠানো হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক অনিমাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় লক্ষ্মীরামকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। জানা যাচ্ছে তাদের একটি চার বছরের ছেলে ও তিন মাসের মেয়ে বর্তমান।
মেমারি থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। মর্মান্তিক এই ঘটনায় গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।