আনোয়ার আলি আনসারী, মেমারি, পূর্ব বর্ধমান -: গর্ভধারীণি মা মাধবী সামন্তকে খুনের অভিযোগে মেমারি থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করল গুণধর ছেলে সোমনাথ সামন্ত ও তার শ্যালক সজল গণকে। ধৃতদের উভয়ের বাড়ি মেমারি থানার পালসিট এলাকায়। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করলে তদন্তের স্বার্থে আদালত উভয়ের ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে গতবছর ২৮ শে নভেম্বর সকাল ৯ টা নাগাদ মেমারি থানার পালসিট এলাকায় ভদ্রকালীতলার কাছে একটি বাড়ির পিছনের বাগানের একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় মাধবী দেবীকে পাওয়া যায়। মৃতার মেয়ে পাপিয়া কোনার অভিযোগ করেন, তার দাদা সোমনাথ সামন্ত, বৌদি সুস্মিতা সামন্ত ও দাদার শ্যালক সজল গণ চক্রান্ত করে মাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে এবং গাছে ঝুলিয়ে দেয়। এমনকি প্রমাণ লোপাটের জন্য সেই গাছ কেটে ফেলা হয় ও ব্যবহৃত চেয়ারও সরিয়ে দেওয়া হয়। তিনি দাবী করেন, মেমারি থানায় অভিযোগ করতে গেলে প্রথমে অভিযোগ নেওয়া হয়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায় ঐদিন সকালে নয় মা মধ্যরাতে মারা গেছেন। মৃতার হাতে একটা কাটা দাগ আছে যা থেকে রক্ত বন্ধ না হওয়ায় ক্ষতস্থান সেলাই করা হয়েছে। পরে পূর্ব বর্ধমান জেলা এসপি অফিসে জানান এবং পরে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালতের নির্দেশের পর ২০২৫ সালের ৭ মে মেমারি থানায় এফআইআর করা হয়। তদন্তের পর মেমারি থানার পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে।
পাপিয়া দেবী সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদেল জানান, মাকে দাদা মারধোর করত, বাবার পেনশনের সব টাকাই দাদ-বৌদি নিয়ে নিত। তাঁদের ১২ কাটা জমির সম্পত্তির প্রতিও লোভ ছিল তাদের। এই নিয়ে প্রায় অশান্তি হতো।





