সংবাদদাতা, আসানসোলঃ- পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ মন্ত্রীর কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হল বুধবার। মুলতঃ রাজ্যের ২২ টি জেলার জেলাশাসকের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতি এই স্মারক লিপি পাঠানোর উদ্যোগ নেয়। প্রধানতঃ গোটা রাজ্যে যে সমস্ত ফেক বা জাল এসটি বা তফসিলি উপজাতির যে সার্টিফিকেট রয়েছে, তা বাতিলের দাবি করা হয়েছে এই স্মারক লিপির মাধ্যমে।
এই উপলক্ষে এদিন সকালে পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতির তরফে আসানসোলে এক কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিলো। সংগঠনের সদস্যরা এদিন প্রথমে আসানসোলের বিএনআর মোডে রবীন্দ্র ভবনের জড়ো হন। সেখান থেকে তারা র্যালি করে আসানসোলের সেনরেল রোড বা বিবেকানন্দ সরণীতে পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসকের দফতরে যান। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় আদিবাসী কল্যাণ সমিতির রাজ্য সম্পাদক পার্সেল কিস্কু জানান, সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ, এমনকি পশ্চিম বর্ধমান জেলাতেও তফসিলি উপজাতীর নয় এমন লোকদেরকেও এসটি সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে উপজাতি সম্প্রদায়ের লোকেরা শিক্ষার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও বঞ্চিত হচ্ছেন। এমন অনেক উদাহরণ আমাদের কাছে প্রমাণ হিসাবে রয়েছে। তিনি বলেন, সুকুমার মাহাতো নামে এক ব্যক্তি সন্দেশখালি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে দুবার ভোটে দাঁড়িয়েছেন সেখান থেকে তিনি দুবার ভোটে জিতেওছেন। এই বিধানসভা কেন্দ্রটি আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকদের জন্য সংরক্ষিত। এমন পরিস্থিতিতে সুকুমার মাহাতো কিভাবে সেখান থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেন? কারণ তিনি তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের নন। তিনি আরো বলেন, কুলটির বাসিন্দা উজ্জ্বল মাহাতোকে আসানসোল মহকুমাশাসকের অফিস থেকে এসসি সার্টিফিকেট পেয়েছেন । একই ব্যক্তি বাঁকুড়ার খাতরা থেকে ওবিসি শংসাপত্র পেয়েছেন। এটা কি করে সম্ভব? তিনি বলেন, এরকম হাজার হাজার উদাহরণ রয়েছে যা প্রমাণ করে যে এসসি সার্টিফিকেট দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। এইসবের জন্য এদিন জেলাশাসকের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী ও অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ মন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে। যাতে এইসব সার্টিফিকেট অবিলম্বে বাতিল করা হোক।