নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া :- মানসিক ভারসাম্যহীন এক গৃহবধুকে গনধর্ষনের ঘটনা ঘটল। গতকাল সকালে ঘটনা টি ঘটে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বাঁকুড়া সদর থানার কমলাডাঙ্গা এলাকায়। আজ গৃহবধুর পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছে। মানসিক ভারসাম্যহীন নিযার্তিতা মহিলার চিকিৎসা চলছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে।পরিবার সুত্রে জানা গেছে বাঁকুড়ার জগন্নাথবাটি গ্রামের মানসিক ভারসাম্যহীন এক গৃহবধূ গতকাল সকালে প্রাতঃভ্রমণে বের হয়ে। স্বামী ফিরে এসে তাকে না দেখতে পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। এর আগেও অনেকবার কাঞ্চনপুরের বাপের বাড়িতে কারো কি কিছু না বলেই চলে গিয়েছিল। বাপের বাড়ি কাঞ্চনপুর এবং শ্বশুরবাড়ি জগন্নাথবাটি দুটি পাশাপাশি গ্রাম। সেই কারণেই এবারও তার স্বামী বাপের বাড়ীর দিকেই গেছে এই ভেবে রাস্তায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে। বিস্তর খোজাখুজি করে পরে পরিবারের লোকজন ওই মহিলাকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় একটি ঝোপের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখেন। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারের লোকজনের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ স্থানীয় বলরামপুর গ্রামের বাসিন্দা উৎপল ঘোষ ও প্রদীপ ঘোষ নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছে। আজ তাদের বাঁকুড়া জেলা জজ আদালতে তোলা হচ্ছে। এই ঘটনা ধর্ষণ নয় গণধর্ষণ বলেই দাবি নির্যাতিতা স্বামীর। অবিলম্বে দোষীদের খুঁজে বের করে কঠোরতম শাস্তির দাবি করেছেন নির্যাতিত স্বামী ।