অঙ্কিতা চ্যাটার্জী::- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্ষুদ্র, ছোটো ও মাঝারি উদ্যোগ, বস্ত্র দপ্তর, আনন্দধারা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের সহযোগিতায় ২ রা মার্চ আসানসোল পোলো গ্রাউন্ডের এন সি সি মাঠে শুরু হলো চারদিন ব্যাপী জেলা হস্তশিল্প, তাঁতবস্ত্র ও স্বরোজগার মেলা। মেলা চলবে ৫ ই মার্চ পর্যন্ত। এই বছর এই মেলায় ৫১ টি স্টল বসেছে। পার্শ্ববর্তী জেলা থেকেও অনেক বিক্রেতা তাদের পসরা নিয়ে মেলায় এসেছেন। মেলার মুখ্য উদ্দেশ্য হলো জেলার স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বরোজগারীদের তৈরী সামগ্রীর প্রদর্শন ও বিপণন।
এদিন প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে মেলার শুভ উদ্বোধন করেন রাজ্যের আইন ও শ্রম দপ্তরের মন্ত্রী মলয় ঘটক। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস পোন্নাবলম, মহকুমাশাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক, মেয়র পারিষদ গুরুদাস চ্যাটার্জী সহ ক্ষুদ্র, ছোট, মাঝারি ও বস্ত্রশিল্প দপ্তরের মহাপ্রবন্ধক প্রশান্ত মন্ডল, জেলা গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের প্রকল্প আধিকারিক ইন্দ্রদেব ভট্টাচার্য, পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পূর্ণিমা বন্দোপাধ্যায় সহ অন্যান্য অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে সঙ্গীত ও নৃত্যের আয়োজন করা হয়। আদিবাসী নৃত্যের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয় মন্ত্রী মলয় ঘটক সহ অন্যান্য অতিথিদের। অতিথিরা মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন এবং ক্রেতা ও বিক্রেতাদের উৎসাহ দেন। জানা যাচ্ছে মেলায় আগত ক্রেতা ও অন্যান্যদের মনোরঞ্জনের জন্য প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
আসানসোলের বিভিন্ন জায়গা থেকে নিজেদের পসরা নিয়ে মেলায় এসেছেন রিঙ্কু ব্যানার্জ্জী, সুনিপা মাজি, সঞ্চিতা ব্যানার্জ্জী মৌসুমী রায়চৌধুরী, কল্পনা চ্যাটার্জ্জী, তুলি মুখার্জ্জী প্রমুখ।
সঞ্চিতা দেবী বললেন – বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনের মেলায় আমি বহুবার গিয়েছি। বিক্রিবাটা ভালই হয়। লাভের মুখ দেখতে পাই। আয়ের একটা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আমাদের ‘দিদি’-কে অসংখ্য ধন্যবাদ। একই সুর শোনা গেল অন্যদের কণ্ঠে।