সঙ্গীতা চ্যাটার্জী (চৌধুরী)ঃ- দক্ষিণ আফ্রিকার একটি সত্য ঘটনা আজ আমি আপনাদেরকে বলবো যা শুনলে আপনি বুঝতে পারবেন, ভগবানের কৃপার কোনো অন্ত নেই, তিনি অনন্ত,তিনি কৃপাময়,তাই আমরা যদি আমাদের জীবনের চরম সংকটের সময় ভগবানের শরণাপন্ন হই তিনি অবশ্যই আমাদের উদ্ধার করবেন।
আজ থেকে প্রায় ১৪ বছর আগে সাউথ আফ্রিকার এক সাধারণ বৈষ্ণব পরিবারে বেড়ে ওঠা একটি ৫ বছরের মেয়ে ভগবান নৃসিংহদেবের ভক্ত ছিল। ভগবান নৃসিংহদেবের শরীর ছিলো অর্ধেক সিংহ ও অর্ধেক মানুষের ন্যায়, তাই মেয়েটি নৃসিংহদেবের প্রতি অত্যন্ত আকর্ষণ অনুভব করতো, সে তার বন্ধুদেরকে সবসময় ভগবান নৃসিংহদেবের কথা বলত। একদিনের ঘটনা, বিকেলে মেয়েটি তার বন্ধুদের সাথে বাইরে খেলা করছিল। কোনভাবে খেলার বলটি রাস্তায় পড়ে যায় আর মেয়েটি বলটি নিতে রাস্তায় যেইমাত্র আসে অপরপ্রান্ত থেকে একটি ট্রাক সজোরে মেয়েটির দিকে আসতে থাকে। মেয়েটির বাবা দোতলা থেকে এই দৃশ্য দেখতে পেয়ে মেয়েটিকে বাঁচানোর জন্য লাফ দিলে তার পাদুটো ভেঙ্গে যায়। এরপর ট্রাকটি মেয়েটিকে ধাক্কা দিয়ে প্রায় ২০মিটার দূরে ফেলে দেয়। রাস্তায় কোনো ট্রাফিক পুলিশ ছিল না, ভাগ্যক্রমে একটি পুলিশের গাড়ি ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। পুলিশ ট্রাকটিকে থামিয়ে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ড্রাইভারকে গ্রেফতার করে এরপর মেয়েটিকে নিকটস্থ একটা ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের অপারগতার জন্য এরপর তাকে দূরের একটি বড় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ডাক্তার রোগীর মুমুর্ষু অবস্থা দেখে দ্রুত এক্সরে করান। কিন্তু এক্সরে রিপোর্টে বারবার ভুল আসছিলো বলে নার্স মনে করেছিলেন। ডাক্তার তাদের প্রতি খুব রেগে গিয়েছিলেন যে তারা মনোযোগের
সাথে পরীক্ষা করেনি। কিন্তু অনেকবার এক্সরে করার পরও একই ছবি আসে মেয়েটির। এক্সরে করা ছবিতে তার শরীরে হাড় ভাঙ্গার কোনো সংকেত দেখা যাচ্ছিলো না। এরপর মেয়েটি একসময় জেগে উঠে ও সকলের সামনে তার ঘটনা বলতে শুরু করে-
মেয়েটি: যখন আমি ট্রাকটিকে দেখছিলাম আমার দিকে ছুটে আসছিল,আমি তখন মা/বাবাকে না ডেকে আমার প্রিয় ভগবান নৃসিংহদেবকে ডেকেছিলাম। আর দেখলাম, স্বয়ং নৃসিংহদেব যাঁর চুল, চোখ কত সুন্দর, নখ মনোহর এবং ধারালো। তিনি সুন্দর ধুতি পরেছিলেন। তিনি আমাকে বললেন,”ভয় পেয়ো না, তোমার কিছু হবে না’।” তিনি আমাকে তখন পাশের নরম ঘাসের উপর শুইয়ে রাখলেন। কিন্তু তাঁর নখরের আচড় পড়ে আমার কোমরে।” তখন, সবাই মেয়েটির কোমরে নখরের আচড় দেখতে পেলেন। আশ্চর্যজনক ঘটনা হলো মেয়েটির শরীরের আর কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় নি। ডাক্তাররা এমন অলৌকিক ঘটনায় কৌতূহলী হয়ে পড়েন ভগবান নৃসিংহদেবের প্রতি এবং পরে তারা কৃষ্ণভক্তে পরিণত হন।