সংবাদদাতা, চিত্তরঞ্জনঃ- স্কুল ঘরে মাশরুম চাষ করে তাক লাগালো চিত্তরঞ্জনের পূর্ব আমলাদহি ছয়েরপল্লী নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষিকারা। স্কুলের প্রায় ৮০ জন ছাত্রছাত্রীর মুখে পুষ্টিকর খাবার তুলে দিতেই এই পরিকল্পনা বলে জানালেন প্রধান শিক্ষিকা ঝর্ণা মন্ডল।
গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে এই প্রক্রিয়া চলছে। আর এই মাশরুম চাষ করেই স্কুলের পড়ুয়াদের দুপুরের খাবারের পাতে তুলে দেওয়া হয়। মিড ডে মিলের খাবারে পুষ্টিকর খাবার হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে এই মাশরুম।সপ্তাহে দু’দিন আলু দিয়ে মাশরুমের তরকারি শিশু শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণীর প্রত্যেক পড়ুয়ার পাতে দেওয়া হয়। তারা সকলেই আনন্দের সঙ্গে এই তরকারি চেটেপুটে খায়।কি করে এই মাশরুম চাষ করার কথা মাথায় এল।
এই নিয়ে জানতে চাওয়া হলে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ঝর্না মন্ডল জানান তিনি অনেক দিন ধরেই ভাবছিলেন স্কুলের পড়ুয়াদের কি করে দুপুরে পুষ্টিকর খাবার দেওয়া যায়। যদিও সপ্তাহে একদিন ডিম , সোয়াবিন ও মাসে একদিন মাংস দেওয়া হয়। তবুও তিনি ভাবেন প্রতিনিয়ত পুষ্টিকর খাবার তুলে দেওয়া যায় কি ভাবে। সেই কথা ভাবতেই মাশরুম চাষের কথামাথায় আসে এরপর তিনি স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের এই কথা জানান এবং সকলে মিলে নিজ প্রচেষ্টায় মাশরুম প্রশিক্ষক নির্মল মন্ডলের কাছে হাতে-কলমে চাষের পদ্ধতিগত দিকগুলি সাত দিনের মধ্যেই শিখে ফেলেন।এরপর নিজেরাই মাশরুম উৎপাদন করেন।প্রথমে প্লাস্টিক ব্যাগে খড়কেটে সেগুলি চুন জলে ধুয়ে হালকা গরম জলে ফুটিয়ে নেওয়া হয়। এরপর খড়গুলি ব্যাগে সাজিয়ে মাশরুম বীজ দিয়ে ওপর থেকে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে ওষুধ দিতে হয়। এইভাবে ৩-৪ টি স্তরে সাজানোর পর অন্ধকার ঘরে সেগুলি কিছুদিন রাখলেই মাশরুম তৈরি হয়ে যায়।তবে নিয়মিত জল দিতে হয়।সেই জৈব সবজি শিশুদের মিড ডে মিলের পাতে রান্না করে দেওয়া হয়।শুভেন্দু পাল জানালেন আটটি ব্যাগে মাশরুম তৈরি করতে খরচ প্রায় আড়াই হাজার টাকা, এই অর্থ শিক্ষক-শিক্ষিকারা সকলে মিলে ব্যয় করেন তারা।