সঙ্গীতা চৌধুরীঃ- সরস্বতী পুজোর আগে কুল খেতে যে বারণ করা হয় তার বাস্তবিক বা মানবিক দিকটি আগের দিন বলেছিলাম। আজ বলবো এই নিষেধের পেছনে থাকা একটি পৌরাণিক কাহিনী। সরস্বতী দেবীকে সন্তুষ্ট করার জন্য মহামুনি ব্যাসদেব বদরিকাশ্রমে তপস্য করেছিলেন। তপস্যা শুরু করার পূর্বে তার তপস্যার জায়গার পাশে একটি কুল বীজ রেখে শর্ত দেওয়া হলো যে এই কুলবীজ অঙ্কুরিত হয়ে চারা, চারা থেকে বড় গাছ, বড় গাছে ফুল এবং সেখান থেকে নতুন কুল হবে, এরপর এই কুল পরিপক্ব হয়ে যখন ব্যাসদেবের মাথায় পড়বে তখন তার তপস্যা পূর্ণ হবে। সেই অনুযায়ী তপস্যা শুরু করলেন ব্যাসদেব কেটে গেল কয়েক বছর। এরপর একদিন কুল পরিপক্ব হয়ে ব্যাসদেবের মাথায় পড়লে তিনি বোঝেন সরস্বতী দেবী তার প্রতি তুষ্ট হয়েছেন।
এই দিনটি ছিল শ্রীপঞ্চমীর দিন, এই দিন বেদমাতা সরস্বতীকে ব্যাসদেব পক্ব কুল ফল নিবেদন করে অর্চণা করেন ও তারপর ব্রহ্মসূত্র রচনার শুরু করেন। কুল বা বরইয়ের আরেক নাম হল বদ্রী, যে কারণে ওই জায়গার নাম হয় বদরিকাশ্রম। আজও পাকিস্তানে রয়েছে বদরিকাশ্রম ও সারদাপীঠ। সারদাপীঠ কারণ মা সরস্বতীর আরেক নাম সারদা।