নীহারিকা মুখার্জ্জী চ্যাটার্জ্জী, কল্যাণী, নদীয়া -: দুর্গাপুজো বা শীতকাল – ওরা অপেক্ষা করে থাকে ওদের ‘মাদার টেরিজা’-র জন্য। ওরা জানে উনি ঠিক ওদের কাছে নতুন পোষাক নিয়ে হাজির হবেন। ওরা হলো নদীয়ার কল্যাণীর আশেপাশের বিভিন্ন ইটভাটার অসহায় শিশু। ওদের মা-বাবা ওইসব ইটভাটায় কাজ করে। ওরা কার্যত পরিযায়ী। তাদের জীবন অত্যন্ত কঠিন এবং কষ্টদায়ক। শিক্ষার আলো এদের কাছে পৌঁছাতে পারেনি। পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে বোঝেই না। সেভাবে সরকারি সুযোগ সুবিধাও পায়না। দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জোটাতে যেখানে তারা হিমশিম খেয়ে যায় সেখানে ছেলেমেয়েদের জন্য নতুন পোষাক কিনে দেওয়ার কথা স্বপ্নেও ভাবেনা।
কিন্তু এবারও ওদের পাশে এসে দাঁড়ালেন ওদের ‘মাদার টেরিজা’ কাঁচরাপাড়ার ছোটো আশ্রম পাড়ার বাসিন্দা বিশিষ্ট সমাজসেবী সোনালী পাল। প্রায় আশিটি নতুন পোষাক ও প্রায় নতুনের মত বেশকিছু পুরনো পোষাক নিয়ে ১৬ ই জানুয়ারি হাজির হয়ে যান ওদের কাছে। ইটভাটার কর্মচারিদের সহযোগিতায় একে একে সেগুলি তুলে দেন ওই অসহায় শিশুদের হাতে। নতুন পোষাক পেয়ে শিশুদের মুখে খেলে যায় পবিত্র হাসি।
সহযোগিতার জন্য ইটভাটা কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সোনালী দেবী বললেন, স্বামী-পুত্রের উপার্জনের অর্থে চেষ্টা করি ওইসব অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে। ওদের পবিত্র হাসি আমার চলার পথে বড় প্রেরণা। পাশাপাশি আমি আমার স্বামী-পুত্রের জন্য গর্বিত।