জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, নিউব্যারাকপুর-: সমাজে বড় কোনো অঘটন ঘটলেই বেশি করে সামনে আসে কিশোরী থেকে শুরু করে তরুণীদের আত্মরক্ষার প্রশ্ন। আরজি করের ঘটনার পর এটা আরও বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি অনেকেই সাইবার ক্রাইমেরও শিকার হয়। এই পরিস্থিতিতে কেউ কেউ তাদের আত্মরক্ষার জন্য ক্যারাটে সহ বিভিন্ন ধরনের আত্মরক্ষামূলক কসরত শেখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু নিছক পরামর্শ দিয়ে নিজেদের দায়িত্ব পালন না করে নিউব্যারাকপুর থানা বিদ্যালয়ের কিশোরীদের জন্য বারবার হাতেকলমে সচেতনতামূলক শিবিরের আয়োজন করে গ্যাছে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটলনা।
স্থানীয় ক্যারাটে প্রশিক্ষিকা কাকলি সরকার ও অন্যান্য প্রশিক্ষকদের সহযোগিতায় এবং নিউব্যারাকপুর থানার উদ্যোগে বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জন্য ৬ ই সেপ্টেম্বর একটি ক্যারাটে প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়। স্থানীয় মাসুন্দা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রায় ৫০ জন ছাত্রী এই প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশগ্রহণ করে।
একদিনের ক্যারাটে প্রশিক্ষণ যথেষ্ট নাহলেও হঠাৎ আক্রান্ত হলে কী করা উচিত সেই সম্পর্কে আত্মরক্ষার জন্য ছাত্রীদের হাতেকলমে অবহিত করা হয়। তাদের মধ্যে প্রবল উৎসাহ দ্যাখা যায়। অনেকেই পুলিশ কাকুদের কাছে মাঝে মাঝে এই ধরনের শিবিরের আয়োজন করার জন্য রীতিমত আব্দার শুরু করে দেয়। কন্যাসমা ছাত্রীদের আব্দার তারা হাসিমুখে মেনেও নেন।
ছাত্রীদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য শিবিরে উপস্থিত ছিলেন এসিপি ঘোলা তনয় চ্যাটার্জ্জী, নিউব্যারাকপুর থানার আইসি সুমিত কুমার বৈদ্য, এসআই সমীরণ দাস সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা।
এই প্রশিক্ষণ শিবিরের কথা শুনে থানার আধিকারিকদের ভূয়সী প্রশংসা করে মুর্শিদাবাদের একটি বিদ্যালয়ের জীববিদ্যার শিক্ষক তথা ক্যারাটেতে ব্ল্যাক বেল্টের অধিকারী সোমনাথ চ্যাটার্জ্জী বললেন, খুবই ভাল উদ্যোগ। পড়াশোনার পাশাপাশি মাঝে মাঝে এই ধরনের শিবিরের আয়োজন করলে কিশোরীদের মধ্যে একটা আত্মবিশ্বাস জন্মাবে। বর্তমান অস্থির পরিস্থিতিতে এটা খুব জরুরি।
অন্যদিকে এসিপি বললেন, আমরা বিভিন্ন সময়ে কিশোরীদের জন্য সচেতনতামূলক শিবিরের আয়োজন করে থাকি। তাদের ভালমন্দ বোঝানোর চেষ্টা করি। সমস্যা হলেই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিই। সহযোগিতার জন্য ক্যারাটে প্রশিক্ষক সহ সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।