এই বাংলায় ওয়েব ডেস্কঃ- ই-কমার্স চালিত বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত দুচাকা গাড়ির ক্ষেত্রে নির্দেশিকা জারি করতে চলছে রাজ্য সরকার। নিরাপত্তা ও উন্নত পরিষেবা প্রদানের জন্যই এই উদ্যোগ বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত বর্তমানে বহু ব্যক্তিগত দু-চাকা যান বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে অ্যাপ ও ই-প্ল্যাটফর্মসগুলির জন্য। খাবার ডেলিভারি থেকে অন লাইন ই-কমার্সের সামগ্রী ডেলিভারি করার জন্য বা বাইক ট্যাক্সি হিসেব। সরকারি মতে বর্তমানে রাজ্যে প্রায় ৬০,০০০ বাইক বিভিন্ন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের জন্য বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। অথচ সেগুলি ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নথিভুক্ত।
বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের প্রিতিনিধি ও অন ডিমান্ড টেকনোলজি ট্রান্সপোর্টেশন এগ্রিগেটর্সদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিল রাজ্য সরকারের পরিবহণ দপ্তর। সেখানে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় বাণিজ্যিকভাবে দু-চাকা যান ব্যবহারের জন্য আলাদাভাবে রেজিস্ট্রি করতে হবে নতুবা নির্দিষ্ট মোটর ভেইকেল অ্যাক্ট অনুযায়ী আইনি পদক্ষেপ করা হবে। পাশাপাশি এই বিষয়ে নির্দিষ্ট নির্দেশিকা জারির ক্ষেত্রে বিভিন্ন অপারেটর ও এগ্রিগেটর্সদের কাছ থেকে মতামত ও পরামর্শও চাওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে বর্তমানে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলির মাধ্যমে বহু বেকার যুবক তাদের জীবিকা অর্জন করেন। দু-চাকা যানের বাণিজ্যিক রেজিস্ট্রেশন হলে অনেকেই চাকরি খোয়ানোর আশঙ্কা করছেন। পাশাপাশি অনেক শিক্ষিত যুবকই ডেলিভারি বয় বা বাইক ট্যাক্সি চালকের কাজ করেন। দু-চাকা যানের বাণিজ্যিক রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক হলে অনেকেই লোকলজ্জার ভয়ে কাজ ছাড়তে বাধ্য হবেন। কারণ বর্তমানে ব্যক্তিগত বাইক ব্যবহার করেই এই কাজ করা হয়। বাণিজ্যিক রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক হলে আলাদা হলুদ নাম্বার প্লেট অনেকেই লাগাতে রাজি হবেন না। এই বিষয়টিও মাথায় রাখা হয়েছে বলে জানান পরিবহন দপ্তরের এক আধিকারিক। তার মতে এক্ষেত্রে দুটি অপশনের কথা ভাবা হয়েছে। এক- একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের ফি দিয়ে ব্যক্তিগত বাইক বা দু-চাকার যান বাণিজ্যিক রেজিস্ট্রি করা যাবে। দুই- নাম্বার প্লেট বদল না করে নির্দিষ্ট পরিমান পারমিশন ফি দিয়ে ব্যক্তিগত বাইক বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা যাবে।
অন্যদিকে এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানান আগামী দিনে সরকারি নির্দেশিকা জারি হলে, বাণিজ্যিক রেজিস্ট্রেশন ছাড়া যদি কেউ ব্যক্তিগত দু-চাকা যান বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করে সে ক্ষেত্রে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং দ্বিতীয়বার ওই একই ভুলের জন্য দশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।