eaibanglai
Homeএই বাংলায়সন্তানের মঙ্গল কামনায় 'নীল ষষ্ঠী' ব্রত পালন মায়েদের

সন্তানের মঙ্গল কামনায় ‘নীল ষষ্ঠী’ ব্রত পালন মায়েদের

সংবাদদাতা, আসানসোল,বাঁকুড়ঃ– একদিকে চৈত্র সংক্রান্তি অন্যদিকে নীল পুজো। নীল পুজো বা চড়ক পূজো উপলক্ষে আসানসোল শিল্পাঞ্চলের অন্যান্য মন্দিরের পাশাপাশি আসানসোলের প্রাচীন চন্দ্রচূড় মন্দিরে নেমেছে ভক্তের ঢল। সকাল থেকেই দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা ভিড় জমিয়েছেন মন্দিরে। লাইন দিয়ে মন্দিরের ভেতর ঢুকে চলছে পূজো আর্চা। শুধু আসানসোল নয় আসানসোলের আশেপাশের বিভিন্ন গ্রাম শহর থেকে প্রচুর ভক্ত প্রতিবছরই আসেন এই মন্দিরে নীল ষষ্ঠীর পুজো দিতে । অন্যদিকে রাজ্যের অন্যান্য অংশের সঙ্গে বাঁকুড়া জেলা জুড়েও সন্তানের মঙ্গল কামনায় ‘নীল ষষ্ঠী’ ব্রত পালন করছেন বাঁকুড়ার মায়েরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন এক্তেশ্বর শিব মন্দির, হরেশ্বর বাবার মন্দির,হংসেশ্বর মন্দির, ভূতেশ্বর মন্দির সহ জেলার সবকটি শিব মন্দিরেই পূণ্যার্থীদের ভীড়। তীব্র তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করেই সকলে হাজির হয়েছেন পুজো দিতে। সকাল থেকেই মন্দিরে মন্দিরে চলছে পূজাপাঠ।

পুরাণ মতে, বিশেষ দিনটিতেইই মহাদেবের সঙ্গে নীল চণ্ডিকা বা নীলাবতীর বিয়ে হয়েছিল। সমুদ্র মন্থনে উঠে বিষ কন্ঠে ধারণ করে শিব হয়েছেন ‘নীলকণ্ঠ’। আর তাঁর সঙ্গে এদিন নীল চণ্ডিকা বা নীলাবতীর বিবাহ হয়েছিল বলেই এই দিনটি নীল ষষ্ঠী নামে পরিচিত। এদিনের পুজোকে নীল পুজো বলা হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, পুরাণেই বর্নিত আছে, দক্ষযজ্ঞে স্বামীর অপমান সহ্য করতে না পেরে শিব পত্নী সতী দেহত্যাগ করেছিলেন। পরে নীলধ্বজ রাজার ঘরে নতুন করে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। নীল চণ্ডিকা বা নীলাবতী নামের ওই কন্যার সঙ্গে শিবের বিয়ে দেন রাজা নীলধ্বজ। সেই কারণে নীল ষষ্ঠী, চৈত্র সংক্রান্তি ও গাজন শিব দুর্গার বিয়ের উত্‍সব হিসেবেও পালিত হয়ে আসছে। 

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments