নিজস্ব সংবাদদাতা, বর্ধমানঃ দেড় বছর হল পূর্ব বর্ধমান ‘নির্মল জেলা’ র তকমা পেয়েছে। তবে, ২০১৯- র সেপ্টেম্বরেও জেলার ৬৭০০০ পরিবারের ঘরে শৌচাগার-ই নেই। অস্বস্তিকর এই তথ্য উঠে এসেছে জেলার স্বচ্ছতা অভিযানের পরিসংখ্যান থেকেই জেলা প্রশাসনের তাবড় আমলা থেকে, ব্লকস্তরের আধিকারিক সকাল-সন্ধ্যায় মাঠে ঘাটে তাড়া করে বেশ জবরদস্ত হানাদারি চালালেন, মাসের পর মাস/ ২০১৮ জুড়ে। কখনো যত্রতত্র শৌচকর্ম করা মানুষকে গোলাপ ফুল হাতে গান্ধিগিরি, কখনো রেশন বন্ধ করা তো কোথাও আবার কড়া ধমক। এভাবেই পূর্ব বর্ধমানের গাঁ-গঞ্জে স্বচ্ছতা অভিযান চলেছিল টানা ছয়মাস। প্রশ্নও অবশ্য উঠেছিল- “মাঠে ঘাটে শৌচকর্ম বন্ধ করলেই হয়ে গেল? লোকগুলো যাবে কোথায়? শৌচালয় কৈ?” জেলা পরিষদের মাধ্যমে দ্রুত শৌচালয় নির্মাণের অর্থ সাহায্যও চালু করা হল। বেশ কিছু গ্রামে গড়ে তোলা হল ‘কম্যুনিটি টয়লেট’। তারপর শুরু হল বেসলাইন সার্ভে। জেলা প্রশাসন দাবি করল,’জেলার প্রতিটি বাড়ীতেই শৌচালয় আছে। অতয়েব- পূর্ব বর্ধমান এবার থেকে নির্মল জেলা’। শৌচাগার নির্মাণ পিছু খরচ ১০ হাজার ৯০০ টাকা। এতে সরকার দেয় ১০ হাজার টাকা আর উপভোক্তার নিজের খরচ শুধু ৯০০ টাকা। ব্যাস ঘরে পাকাপাকি বসে গেল একটি শৌচালয়। এ তো সহজ সরল সরকারি হিসাব। আদতে পরিস্থিতি কি? সাম্প্রতিকতম একটি বেসলাইন সার্ভে বলছে- জেলায় ৬৭০০০ হাজার বাড়ীতে আদৌ কোনো শৌচালয় ই নেই। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ সভাপতি দেবু টুডু বলেন, সেপ্টেম্বরেই ১৬০০ নতুন শৌচালয় উপোভক্তাদের হাতে তুলে দিলাম। বাকিদেরও দু মাসের মধ্যে সাড়ে ৬৬০০০ শৌচালয় তুলে দেওয়া হবে।