সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ- দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চায়েতে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার জন্য স্থায়ী কোন ডাক্তার নেই, যার কারনে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পঞ্চায়েতের অধীনে বসবাসকারী সাধারণ মানুষদের। এছবি বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী থানার রাধামোহনপুর পঞ্চায়েতের। একটা সময় ছিল এই পঞ্চায়েতে সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পরিষেবা চালু ছিল। তখন স্থায়ী চিকিৎসক ছিলেন। এমন অনেক সাধারণ মানুষ রয়েছেন যাদের পকেটের টাকা খরচ করে ভালো ডাক্তার দেখানোর মত আর্থিক সামর্থ্য নেই পঞ্চায়েতে স্থায়ী ডাক্তার থাকার ফলে উপকৃত হতেন তারা। কিন্তু বর্তমানে কোন স্থায়ী চিকিৎসা চিকিৎসক নেই। একজন কম্পাউন্ডার চিকিৎসা করছেন সাধারণ মানুষের। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে। একজন কম্পাউন্ডার কিভাবে সাধারণ মানুষকে ঔষধ দিতে পারেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। তার ভুল ঔষধের কারণে যদি কোন বিপদ ঘটে তখন তার দায় কে নেবে। মন্টু সিট নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, আমাদের পঞ্চায়েতে অনেকদিন ধরে কোন স্থায়ী ডাক্তার নেই, একজন এখানে আসেন সে কি ওষুধ দেবে। আমরা এটাই বলতে চাই আমাদের এখানে একটা ভালো ডাক্তারের খুবই প্রয়োজন। এত বড় একটা এলাকা তাতে করে কোন ডাক্তার না থাকলে চলবে না। আমরা কম্পাউন্ডারের ওপর ভরসা করতে পারছি না। এ বিষয়ে রাধামোহনপুর পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত প্রধান রিঙ্কু রুইদাস এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে কেস চলছে এটা নিয়ে আমাদের মন্তব্য করা ঠিক হবে না , বা মন্তব্য কিছু করছি না যতক্ষণ না কেসটা মিটছে । কারণ কোটকে আমরা সম্মান করি। তবে এবিষয়ে পঞ্চায়েতের কোন গাফিলতি নেই বলেই জানান তিনি। স্থানীয় বিজেপি নেতা তাপস সরকার বলেন , এই পঞ্চায়েতে আগে একজন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার ছিলেন , বর্তমানে এই সরকার আসার পরে সেই ডাক্তার এখন নেই । রাধামোহনপুর পঞ্চায়েতের যে সমস্ত গ্রাম গুলো রয়েছে গ্রামের মানুষ বাইরে কোথাও ডাক্তার দেখাতে যেতে পারতোনা তারা পঞ্চায়েতে ট্রিটমেন্ট করাতো । কম্পাউন্ডার কোন ভুল ঔষধ দিলে মানুষ আরো বিপদে পড়বে বলে জানান তিনি। গোটাটাই পঞ্চায়েতের গাফিলতি বলে দাবি করেন তিনি। তবে বর্তমানে নতুন করে ডাক্তার নিয়োগের দাবি জানান তিনি।