তাপস মাল, বাঁকুড়া:- ধাইমা দের দিন শেষ। মঙ্গলবারে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের নির্দেশিকা তাই প্রমাণ করে। পুরনো দিনের ঠাকুমা ঠাকুরদার কাছে গল্পে শোনা যেত বাড়িতে বসে সন্তান প্রসব হত নির্বিঘ্নেই। প্রতিটি পরিবারের সঙ্গে জড়িত থাকতেন একজন ধাইমা। অবশ্য সেই আদিম গর্ভকালীন ব্যবস্থাপনা বর্তমানে একেবারে নেই বললেই চলে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত মানুষের সচেতনতার অভাবে বাড়িতে প্রসব করার সময় অনেক সন্তান জন্মবার সাথে সাথেই মারা যায়। এই বিষয়ে আরো বেশি সচেতনতা গড়ার লক্ষ্যে মঙ্গলবার বাঁকুড়া জেলা শাসক একটি নির্দেশিকা জারি করে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এতদিন পর্যন্ত হোম ডেলিভারি হলে তার জন্ম শংসাপত্র দিতে পারতেন গ্রাম পঞ্চায়েত কিংবা পৌরসভা গুলি। কিন্তু এখন আর সেই দপ্তর গুলি সরাসরি তা পারবে না। সংশ্লিষ্ট হোম ডেলিভারি কর্তৃপক্ষদের আবেদন পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে এবার খতিয়ে দেখবেন মহাকুমা শাসকরা। তবেই মিলবে অবশেষে জন্ম শংসাপত্র। ওই নির্দেশিকাটি জেলার সমস্ত বিডিও, গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পৌরসভা গুলোতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।