সংবাদদাতা,বাঁকুড়া:- দেশ তথা রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করেছে নিয়েছে লাল মাটির দেশ বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর, যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বাঁকুড়ার রানী নামে পরিচিত। জঙ্গল ঘেরা কংসাবতী বাঁধের নীল জল ও তার সঙ্গে অপূর্ব প্রাকৃতিক শোভা আকর্ষন করে দেশ তথা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটকদের। পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে এই সুন্দর পরিবেশে গড়ে তোলা হয়েছে ডিয়ার পার্ক। আর এই পর্যটনস্থলের অন্যতম আকর্ষন কংসাবতীর জলাধারে নৌকা বিহার।
মুকুটমণিপুরে কংসাবতীর জলাধারের এই নৌকো বিহারের টানেই প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক ছুটে আসেন। কিন্তু চলতি বছরে কোনও অজ্ঞাত কারণে মুকুটমণিপুরে দেখা মিলছে না পর্যটকদের। স্থানীয় পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের দাবি প্রতিবছর এই সময় থেকেই পর্যটকদের ভিড় শুরু হয়। দুর্গাপুজোর ছুটি ও শীতের সময়ে সেই ভিড় অনেকটাই বেড়ে যায়। এদিকে এই পর্যটকহীন মুকুটমণিপুরে তীব্র আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে পড়েছেন নৌকা বিহার ব্যবসার সঙ্গে যুক্তরা। তাদের দাবি চলতি সপ্তাহে মাত্র দুই জন পর্যটকই এসেছেন নৌকা বিহার করতে। নৌকা বিহার কমিটির দাবি করোনা কালের লকডাউনের সময় ছাড়া এরকম পরিস্থিতি আগে কখনও হয়নি। ব্যবসায় এরকম মন্দা দেখা দেয়নি কখনও। তাই নৌকা বিহারের সঙ্গে যুক্তরা কেউ মাছ ধরে অথবা অন্যান্য কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে বাধ্য হচ্ছেন।
প্রসঙ্গত এখানে মাত্র ১৫০ টাকায় নৌকা বিহার উপভোগ করতে পারেন পর্যটকরা। কেউ যদি চান একান্ত কিছু সময় কাটাতে সেক্ষেত্রে খরচ করতে হয় দেড় হাজার টাকার মতো। প্রায় আড়াই ঘন্টা ব্যাপী এই নৌকো বিহার বেশ জনপ্রিয় ছিল বিগত কয়েক বছরে। কিন্তু এই বছরে যেন মুকুটমণিপুরকে ভূতে ধরেছে। দেখা যাচ্ছে না পর্যটকের আনাগোনা। খালি পড়ে রয়েছে পান্থশালা লজ এবং বিভিন্ন রিসোর্ট। ফলে পর্যটন ব্যবসায় মন্দা দেখা দিয়েছে। এখন সবার একটাই আশা, কবে এই মন্দা কাটিয়ে পর্যটকের আনাগোনা শুরু হবে বাঁকুড়ার রানী মুকুটমণিপুরে।