সঙ্গীতা চ্যাটার্জী (চৌধুরী)ঃ- নৃসিংহদেবের চতুর্দশী ব্রত পালন করলে কী ফল লাভ হয় তা স্বয়ং ভগবান নৃসিংহ দেব বলেছিলেন। ভগবানের কথায়, সৃষ্টিশক্তি লাভের জন্য স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মা আমার এই চতুর্দশী ব্রত পালন করেন, ত্রিপুরাসুরকে বধের উদ্দেশ্যে দেবাদিদেব মহাদেব ও এই ব্রত করেছিলেন, স্বর্গসুখ লাভের জন্যই দেবতারা আগের জন্মে আমার ব্রত করেছিলেন, বেশ্যাও এই ব্রতের ফলে ত্রিলোকে সুখচারিণী হয়েছে। যে সমস্ত মানুষ আমার এই ব্রতশ্রেষ্ঠ পালন করবে, শতকোটি কল্পেও তাদের সংসারে আর পুনরাগমন নেই। আমার ব্রত প্রভাবে অপুত্রক ভক্তপুত্র লাভ করে, দরিদ্র ধনশালী হয়, তেজস্কামী তেজঃলাভ করে, রাজ্যকামী রাজ্য পায়, আয়ুষ্কামী দীর্ঘায়ু লাভ করে। স্ত্রীলোকেরা আমার এই চতুর্দশী ব্রত পালন করলে ভাগ্যবতী হয়, এই ব্রত সৎপুত্রপ্রদ, অবৈধব্যকর ও পুত্রশোক বিনাশন, দিব্য সুখপ্রদ। স্ত্রী-পুরুষ যারা এই উত্তম ব্রত পালন করে, তাদের আমি সুখ ও ভুক্তি-মুক্তি ফল দান করি। হে প্রহ্লাদ, দুরাত্মাদের আমার ব্রত পালনে মতি হয় না। পাপকর্মেই সর্বদা তাদের মতি।রাবনের দাসমুক্ত হওয়ার জন্য শনিদেব আমার এই ব্রত পালন করেছে।
এখন চলুন বলা যাক এই মহা চতুর্দশী ব্রত পালন না করলে কী হয়?
ভক্ত প্রহ্লাদকে ভগবান স্বয়ং বলেছেন,“বর্ষে বর্ষে তু কর্তব্যং মমসন্তুষ্টি কারণম।
মহাগুহ্যম ইদম্ শ্রেষ্ঠং মানবৈর্ভবভীরুভিঃ।।”
অর্থাৎ আমার সন্তুষ্টির লক্ষ্যে চতুর্দশী ব্রত কর্তব্য। জন্ম-মৃত্যুময় সংসার ভয়-ভীত মানুষ এই পরম গোপনীয় ও শ্রেষ্ঠ ব্রত পালন করবে।।
১০০০টা দূর্গাপুজা করলে যে পূণ্য হয়, একটা একাদশী ব্রত করলে সেই পূণ্যফল লাভ হয় আর ১০০০টা একাদশী ব্রত করলে যে পূ্ণ্যফল লাভ হয়, একটা নৃসিংহ চতূর্দশী কেউ ভক্তি ভরে করলে তার সেই পূণ্য হয়।