নিজস্ব সংবাদদদাতা,দুর্গাপুর ও আসানসোলঃ– পেহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় সিঁথির সিঁদুর মুছে গিয়েছিল ২৫ জন ভারতীয় নারীর। প্রতিবাদে জঙ্গি দমনের কড়া বার্তা দেন দেশের প্রধান মন্ত্রী। অবশেষে ‘অপারেশন সিঁদুর’এর মাধ্যমে পেহেলগাঁও জঙ্গি হামলার বদলা নিল ভারত। মঙ্গলবার গভীর রাতে মাত্র ২৫ মিনিটে ২৪ বার আঘাত হেনে পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাক পঞ্জাব প্রদেশের ন’টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। এই হামলায় জৈশ-এ-মোহাম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈবার মতো নিষিদ্ধ সংগঠনের ঘাঁটিগুলি ধ্বংস করা হয়। ভারতের এই অভিযানে অন্তত ৭০ জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি সরকারি সূত্রের।
অন্যদিকে ‘অপারেশন সিঁদুর’এর খবর জানাজানি হতেই উল্লাসে মেতেছে ভারতবাসী। বাদ পড়েনি আসানসোল দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলও। এদিন আলতা, সিঁদুর আর মিষ্টি বিতরণ করে ব্যান্ড পার্টিকে সঙ্গে নিয়ে উচ্ছ্বাসে মাতে দুর্গাপুরের বিশ্ব সনাতনী ঐক্য মঞ্চ। এদিন দুপুরে চন্ডীদাস বাজারে গাড়ির চালকদের এবং পথ চলতি মানুষদের মিষ্টিমুখ করান সংগঠনের সদস্যরা। এছাড়াও গোটা বাজার এলাকা জুড়ে উল্লাস প্রদর্শন করেন মানুষজন। যেখানে সামিল হয়েছিলেন জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ দত্ত, বিজেপি নেতা পারিজাত গঙ্গোপাধ্যায়, সুমন্ত মন্ডল সহ বিজেপি কর্মীরাও। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ দত্ত বলেন,”২৫ জন নিরীহ পর্যট সহ ২৬ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল পাকিস্তানি জঙ্গিরা। তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিল ভারতীয় সেনা। আমরা তাতে খুশি। এরপরেও যদি পাকিস্তানের শিক্ষা না হয় তাহলে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে পাকিস্তানকে মুছে দেওয়া হবে।”
অপরদিকে ‘অপারেশন সিঁদুর’এর খবর ছড়িয়ে পড়তেই আসানসোল শিল্পাঞ্চল জুড়ে খুশির জোয়ার নামে। বুধবার সকালে আসানসোলের রবীন্দ্রভবনের সামনে শতাধিক মানুষ জাতীয় পতাকা হাতে সমবেত হন। সিঁদুর খেলে এবং উল্লাসে মেতে তারা ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই সাহসী পদক্ষেপকে স্বাগত জানান। পাশাপাশি পথচলতি মানুষদের মধ্যে লাড্ডু বিতরণ করা হয়।
গত ২২ তারিখের জঙ্গি হামলার ঘটনা যেমন গোটা দেশকে কাঁদিয়েছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’যেন সেই শোক ভুলিয়ে দেশবাসীর মুখে হাশি ফোটাল। এমনটাই মনে করছেন শিল্পাঞ্চলের বাসিন্দাদের একাংশ।





