সংগীতা চৌধুরীঃ- গতকাল ৮ ই ফেব্রুয়ারী, বৃহস্পতিবার ছিলো রটন্তী কালী পুজো। এই দিন আয়ান ঘোষের হাত থেকে শ্রীমতী রাধারানীকে বাঁচাতে কৃষ্ণ নিয়ে ছিলেন কালী রূপ! ঠিক একইরকম ভাবে নালিকুলের শ্রীপতিপুর পশ্চিমের অধিকারী বাড়ি ঘোর বৈষ্ণব হওয়ায় মা কালীর সাধক বটকৃষ্ণ অধিকারীর হাত থেকে পুজো পেতে মা কালী স্বয়ং সাধক বটকৃষ্ণ অধিকারীকে অনুভব করিয়েছিলেন, কৃষ্ণ কালী রূপের অভিন্নতা। ঘোর বৈষ্ণব পরিবারে মাতৃমূর্তি প্রতিষ্ঠায় যখন সমাজ থেকে নেমে আসে প্রবল বাধা, তখন বটকৃষ্ণ অধিকারী অনুভব করেন, মা যেন তাকে দেখাচ্ছেন কৃষ্ণ এবং কালী এক দেহে মিশে যাচ্ছেন আর কালী প্রতিমা হয়ে যাচ্ছেন সবুজ রঙের। সবুজ রঙের সেই কালী বিগ্রহ পুজো করার নির্দেশ পান স্বর্গীয় বটকৃষ্ণ অধিকারী আর তারপর মাতৃমূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। অধিকারী বাড়ির এই সবুজ কালী মায়ের প্রতিষ্ঠাও হয় রটন্তী কালীপুজোয়, গতকাল ছিলো এই পুজোর ৭৩তম বার্ষিক অনুষ্ঠান। তাই প্রতিবছরের ন্যায় এইবছরও এক বিশেষ পুজো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিলো অধিকারী বাড়ির তরফ থেকে, তাই ৭৩ তম প্রতিষ্ঠা দিবসে সবুজ কালী মায়ের মন্দির হয়ে উঠেছিলো আলোকময় ও জনসমারহে ভরপুর।
মায়ের ৭৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর পুজো উপলক্ষে সারা দিন ও রাত্রি ব্যাপী পুজো চলে। ৯ ই ফেব্রুয়ারি ভোর ৫.৩০ এ হোম যজ্ঞের পূর্ণাহূতির মাধ্যমে রটন্তী কালীপুজোর বাষিক পূজা অনুষ্ঠান শেষ হয়। গতকালকের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ ড.সুবীর মুখার্জী ও হরিপালের MLA ডক্টর করবী মান্না ও আমাদের রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না। এছাড়া সেতার বাদক অয়ন ব্যানার্জী, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অভিনেতা সৌমেন সাধু্ঁখা থেকে শুরু করে বাংলা ব্যান্ড The Back Benchers সহ বহু বিশিষ্ট জ্ঞানী গুণী মানুষ ও নাচ,গান,সেতার বাজানোর মধ্যে দিয়ে তারা ভরিয়ে তোলেন রটন্তী কালীপুজোর সন্ধ্যা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমানে সবুজ কালী মায়ের মন্দিরের প্রধান সেবাইতের ভূমিকায় আছেন সাধক বট কৃষ্ণ অধিকারীর সুযোগ্য পুত্র কালীপদ অধিকারী আর এই মন্দিরের আহবায়ক হিসেবে রয়েছেন কালীপদ অধিকারীর পুত্র দেবজ্যোতি অধিকারী।