eaibanglai
Homeএই বাংলায়৩০ টাকাতেই বাজিমাত, রাতারাতি কোটিপতি রাজমিস্ত্রি

৩০ টাকাতেই বাজিমাত, রাতারাতি কোটিপতি রাজমিস্ত্রি

সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ- রাতারাতি কোটিপতি হলেন বাঁকুড়ার খাতড়ার রাধামোহনপুর গ্রামের রাবণ বাউরি। পেশায় রাজমিস্ত্রি, ওই ব্যক্তির মাত্র তিরিশ টাকাতেই বাজিমাত। এই খবর পাওয়ার পর বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস আর আনন্দের সঙ্গেই ততক্ষণে ‘কোটিপতি’ রাজ মিস্ত্রির স্নায়ুর চাপ বেড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে এক বুক আতঙ্ক নিয়ে যোগাযোগ করেন স্থানীয় খাতড়া থানায়। শেষমেশ পুলিশী নিরাপত্তা বলয়ে থানায় পৌঁছে হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন ওই রাজমিস্ত্রি। খাতড়ার রাধামোহনপুর গ্রামের বাসিন্দা পেশায় রাজমিস্ত্রি ওই ব্যক্তি রবিবার সন্ধ্যায় খাতড়া শহরের খড়বন মোড়ের একটি লটারী কাউন্টার থেকে তিরিশ টাকা মূল্যের টিকিট কেনেন। আর তার কিছুক্ষণের মধ্যে ভাগ্য খুলে যায় তাঁর। টিকিট কিনে বাড়ি ফেরার কিছুক্ষণের মধ্যেই জানতে পারেন তাঁর কাছে থাকা টিকিটেই এক কোটি টাকা উঠেছে। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন রাবণ । তবে ততক্ষণে রাজমিস্ত্রির রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। ফলে খাতড়া থানার পুলিশ তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্ব নেয়। থানায় এনে রাখা হয় তাঁকে। আপাতত খাতড়া থানায় অস্থায়ী আস্তানা হয়ে উঠেছে সদ্য এই কোটিপতির।

‘কোটিপতি’ রাবণ বাউরির এখনও কাঁচা বাড়িতে বসবাস। বাবা, মা, স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে তার সংসার। আগামী দিনে এই বিপুল পরিমান টাকা নিয়ে কি করবেন ভেবে উঠতে পারেননি বলে জানান তিনি। তবে সংসারের কিছু উন্নয়ন মূলক কাজ সহ ছেলে মেয়ের পড়াশোনার কাজে ওই টাকা খরচ করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

কোটিপতির এক নিকট আত্মীয় কৃষ্ণপদ বাউরি বলেন, খবর পেয়েই রাবণের নিরাপত্তার কথা ভেবে পাশে দাঁড়াই। বর্তমানে আমরা খাতড়া থানার পুলিশের নিরাপত্তা বলয়ে রয়েছি। খাতড়ার খড়বন মোড়ের টিকিট বিক্রেতা শিবু বাউরি বলেন আমাদের কাউন্টার থেকে স্বল্পমূল্যের পুরস্কার লাগলেন, বড় অঙ্কের পুরস্কার এই প্রথম। স্বাভাবিকভাবেই খুব খুশি আমরা।

ইন্দপুরের বাসিন্দা বিশিষ্ট সমাজসেবী সোমনাথ মাজি বলেন, খাতড়ার রাধামোহনপুরের রাজমিস্ত্রি লটারি কেটে কোটিপতি হলেন, শুনে ভালই লাগছে। তবে নেশার বসে লটারি কেটে অনেকেই সর্বসান্তও হন। এই নজির বেশি রয়েছে বলে আমার মনে হয়।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments