সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ- দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক সন্মান পদ্মভূষণ পাওয়া পৃথিবী বিখ্যাত শিল্পী বাঁকুড়ার যামিনী রায়ের বসত ভিটের হাড় কঙ্কাল বের করে পড়ে রয়েছে সংস্কারের অভাবে। যামিনী রায় বাংলার বিখ্যাত কালীঘাট পটচিত্র শিল্পকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছিলেন। যামিনী রায় ১৮৮৭ সালের ১১ এপ্রিল বাঁকুড়া জেলার তৎকালীন বেলিয়াতোড় গ্রামের এক মধ্যবিত্ত জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পড়াশোনা করেন কলকাতা গভর্নমেন্ট আর্ট স্কুলে। তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে বেলিয়াতোড়ের বুকে গড়ে উঠেছে যামিনী রায় কলেজ। এদিকে ২০২৪ সালেও জরাজীর্ণ এবং ভগ্নপ্রায় অবস্থায় পড়ে রয়েছে চিত্রশিল্পী যামিনী রায়ের বাড়ি। সংস্কারের অভাবে বাড়ির অবস্থা শোচনীয়। ফাঁক ফোকরে জমেছে আগাছা। একতলা উঁচু এই বাড়িটির দিকে তাকালে মনে হবে এক ভুতুড়ে বাড়ি। বেলিয়াতোড় এর রায়পাড়া এই জরাজীর্ণ বাড়িতে দিনের আলোতেও গা ছম ছম করবে। বেলিয়াতোড় এর স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জয় পাল বলেন, “অনেক নেতা মন্ত্রী এসেছেন, ঘুরে গেছেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বাড়িটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে রয়েছে।
বাড়ির বিভিন্ন দেয়ালে দেখা দিয়েছে ফাটল এবং পুরো বাড়িটা কব্জা করে নিয়েছে আগাছা। একটু একটু করে ক্রমশ যেন ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে চিত্রশিল্পী যামিনী রায়ের এই প্রাচীন বাড়িটি। বেলিয়াতোড় এর মেচা, মালাই চা এবং চপ খেতে দূর দুরন্ত থেকে ভিড় জমান মানুষ। সেই কারণেই বাঁকুড়ার ভূমি পুত্র যামিনী রায়ের বাড়িটি সংস্কার হলে নতুন পর্যটন গড়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। যামিনী রায় কলেজের স্টাফ তথা বেলিয়াতোড় এর বাসিন্দা হারাধন কর্মকার চাইছেন এই বাড়িটিকে হেরিটেজ স্বীকৃতি দেওয়া হোক এবং সরকারের পক্ষ থেকে সংস্কার করা হোক শিল্পীর এই বাড়িটিকে।