নিজস্ব প্রতিনিধি, পানাগড়ঃ বহু বছর আগে শুরু হয়েছিল এই মুড়ি মেলা। শোনা যায় বর্তমানে যেখানে মেলা বসে সেখানে একটি পুকুর রয়েছে। তার চারপাশে রয়েছে জঙ্গল। আগে এলাকার রাখালরা এখানে গরু চড়াতে আসতো নিত্যদিন। তবে মকরসংক্রান্তির দিনে তারা গামছায় করে মুড়ি আর তেলেভাজা নিয়ে আসত। ওই পুকুরে স্নান করে মুড়ি আর তেলেভাজা খেয়েই তারা পৌষ সংক্রান্তি পালন করত। পরে স্বপ্নাদেশ পেয়ে সেখানে দেবীর পুজো শুরু হয় এবং ভক্তরা পুকুরে স্নান করে মন্দিরে পুজো দিয়ে পৌষ সংক্রান্তি পালন করত। ধীরে ধীরে সেখানে দেবীর মাহাত্ব্য শুনে বছরের পর বছর ভিড় বাড়তে থাকতে ভক্তদের। শোনা যায় নিঃসন্তান দম্পতি ওই পুকুরে ডুব দিয়ে মাটি ছুঁয়ে যা পেতো সেটাই দেবীর আশীর্বাদ মনে করে রেখে দিত। পরে ফল পেলে একই ভাবে ডুব দিয়ে তা পুকুরেই ফিরিয়ে দিতে হত। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন আগে ভোর থেকে কত ভিড় জমতো পুকুর পাড়ে। প্রদীপ নিয়ে সকলে বসে টুসু গাইতো। তবে এখন সে সব আর দেখা যায় না । মেলায় মানুষ আসে শীতের দিনে মাঠে বসে নিজেদের পরিবার নিয়ে পিকনিক করতে। তবে গরম তেলেভাজার সাথে সেই মুড়ি আজও বিদ্যমান। দীর্ঘদিন ধরে একই ভাবে এই রীতি চলে আসায় তাই এই মেলার নামই হয়ে গেছে মুড়ি মেলা।