নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– গতকালই পানাগড়কাণ্ডে অভিযুক্তদের গাড়ির চালক পানাগড়ের ব্যবসায়ী বাবলু যাদবকে গ্রেফতার করে কাঁকসা থানার পুলিশ। শুক্রবার তাকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। এই সময় সাংবাদিকদের কেন পালিয়েছিলেন প্রশ্নের উত্তরে ধৃত জানায় “ভয়ে পালিয়েছিলাম”। এদিন ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিশ।
এর আগে দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে থাকা বর্ধমান ও চনন্দনগরের দুই যুবককে আদালতে গোপন জবানবন্দী দেওয়ার জন্য পেশ করেছে কাঁকসা থানার পুলিশ।
প্রসঙ্গত রবিবার গভীর রাতে পানাগড় বাজার এলাকায় গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় চনন্দনগরের বাসিন্দা বছর ২৬-এর তরুণী সুতন্দ্রা চট্যোপাধ্যায়ের। তিনি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজে বিহারের গয়ায় যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে। অভিযোগ পানাগড়ে তাদের গাড়িটি ধাওয়া করে কিছু মদ্যপ যুবকের একটি দল। তাদের হাত থেকে বাঁচতে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তরুণীর গাড়ি এবং তার মৃত্যু হয়। এমনটাই দাবি ছিল তরুণীর গাড়ির চালকের। তরুণীর মা তনুশ্রী চট্টোপাধ্যায়ও বার বার একই দাবি করেছেন। অন্যদিকে অভিযুক্তরা দুর্ঘটনাস্থলের কাছেই গাড়ি ফেলে রেখে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
যদিও দুর্ঘটনার পরদিনই কিছু সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এনে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী দাবি করেন ইভটিজিং নয় বরং গাড়ি রেষারেষির জেরেই রবিবার রাতের দুর্ঘটনা ঘটে। পানাগড় বাজার এলাকার দুর্ঘটনাস্থলের আগের একটি ফুটেজে দেখা যায় সাদা একটি গাড়ি (অভিযুক্ত যুবকদের গাড়ি বলে দাবি) দ্রুত গতিতে ছুটে যাচ্ছে, তার পিছনে আরও দ্রুত গতিতে ছুটছে একটি কালো গাড়ি (তরুণীর গাড়ি বলে দাবি)।
অন্যদিকে পুলিশ কমিশনারের বক্তব্যের তীব্র বিরোধীতা করেন শিল্পাঞ্চলের বিজেপি নেতৃত্ব। পানাগড় কাণ্ডে ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পুলিশকে রাজ্য শাসক দলের তাঁবেদার বলে ক্ষোভ উগড়ে দেন আসানসোলের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল।





