নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- পানাগড়কাণ্ডে তরুণীর (সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়) গাড়ির চালককে গ্রেফতার করল কাঁকসা থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মঙ্গবার ভোরে তাকে চন্দননগর থেকে গ্রেফতার করে আনা হয়। এদিন দুপুরে তাকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ।
ঘটনা প্রসঙ্গে এসিপি কাঁকসা সুমন কুমার জয়সওয়াল জানান, বিপজ্জনকভাবে গাড়ি চালানোর অভিযোগে চালক রাজদেও শর্মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে ডিসি অভিষেক গুপ্তা জানান, ধৃতকে দুর্গাপুর আদালতে তুলে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানানো হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই ঘটনায় এর আগে অভিযুক্তদের গাড়ির চালক পানাগড়েরর ব্যবসায়ী বাবলু যাদবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বর্তমানে সে জেল হেফাজতে। এই ঘটনায় দ্বিতীয় গ্রেফতার হলেন তরুণীর গাড়ির চালক। যদিও বাবলু যাদব ছাড়া বাকি অভিযুক্তরা এখনও অধরা।
প্রসঙ্গত রবিবার গভীর রাতে পানাগড়ের রাইসমিল রোড এলাকায় গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় চনন্দনগরের বাসিন্দা বছর ২৬-এর তরুণী সুতন্দ্রা চট্যোপাধ্যায়ের। তিনি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজে বিহারের গয়ায় যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে। অভিযোগ গলসির কাছে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে তাদের গাড়িটি ধাওয়া করে কিছু মদ্যপ যুবকের একটি দল। তাদের হাত থেকে বাঁচতে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তরুণীর গাড়ি এবং অভিযুক্তরা দুর্ঘটনাস্থলের কাছেই গাড়ি ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এমনটাই দাবি ছিল তরুণীর গাড়ির চালকের।
যদিও দুর্ঘটনার পরদিনই কিছু সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এনে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী দাবি করেন ইভটিজিং নয় বরং গাড়ি রেষারেষির জেরেই রবিবার রাতের দুর্ঘটনা ঘটে। পানাগড়ের দুর্ঘটনাস্থলের আগের একটি ফুটেজে দেখা যায় সাদা একটি গাড়ি (অভিযুক্ত যুবকদের গাড়ি বলে দাবি) দ্রুত গতিতে ছুটে যাচ্ছে, তার পিছনে আরও দ্রুত গতিতে ছুটছে একটি কালো গাড়ি (তরুণীর গাড়ি বলে দাবি)।
যদিও পুলিশ কমিশনারের বক্তব্যের তীব্র বিরোধীতা করে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন তরুণীর মা। অন্যদিকে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়ে বিক্ষোভ দেখায় শিল্পাঞ্চলের বিজেপি নেতৃত্বও।





