eaibanglai
Homeএই বাংলায়মনসা পুজো উপলক্ষে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির

মনসা পুজো উপলক্ষে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির

নিজস্ব সংবাদদাতা,পানাগড়ঃ-মনসা পুজো সাধারণত বাংলা শ্রাবণ মাসের শেষ দিনে উদযাপিত হয় পল্লী বাংলার ঘরে ঘরে। বাংলার লৌকিক দেব দেবীদের মধ্যে অন্য়তম মা মনসা শিবের পুত্রী, বিষের দেবী, কাশ্যপ পুত্রী, নাগ মাতা, প্রভৃতি হিসেবে পরিচিত। সর্পদংশন থেকে মুক্তি ও সর্পভয় দূর করতে এই পুজো করা হয়। এছাড়া প্রজনন ও ঐশ্বর্য লাভের জন্যও মনসার পূজা করা হয়। সাধারণত বর্ষাকালে সাপের প্রকোপ বেশি হয় এই সময় মা মনসার পুজো করা হয়।

আর এই মনসা পুজোকে সামনে রেখে, ত্যাগবোধকে জাগ্রত করে সামাজিক ভাবনায় রক্তদানকে বেছে নিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের পানাগড়ের সোয়াই গ্রামের জাগ্রত মনসা মন্দিরের শ্রী শ্রী পাঁচ পুতুল মা মনসা পুজো কমিটি। মনসা পুজো পলক্ষ্যে পুজো কমিটির উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছিল মহতী রক্তদান শিবির। এই রক্তদান শিবিরে মোট ২৭ জন রক্তদান করেন। যাদের ২১ জন প্রথমবার রক্তদান করেন। সহযোগিতায় ছিল দুর্গাপুর ব্লাড ডোনার্স কাউন্সিল। শিবির থেকে রক্ত সংগ্রহ করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল ব্লাড সেন্টার।

“গ্রাম থেকে শহর, শুরু হোক রক্তদানের সফর” এই ভাবনাকে সামনে রেখে ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স অর্গানাইজেশনস সমন্বয় কমিটি পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের ২৬ তম জেলা সম্মেলনকে সামনে রেখে জেলার প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে স্বেচ্ছা রক্তদানের ভাবনাকে প্রসারিত করার এই উদ্যোগকে বাস্তবায়িত করার মধ্য দিয়ে গ্রাম এবং নগরকে রক্তদানের মধ্য দিয়ে একই সুতোয় বেঁধে নিয়ে সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধন গড়ে তুলতে দুর্গাপুর ব্লাড ডোনার্স কাউন্সিলের পক্ষ থেকে এই স্বেচ্ছা রক্তদান শিবিরকে সারা জেলায় ছড়িয়ে দেবার আহ্বান জানান সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সজল বোস।

এই প্রসঙ্গে জেলা সমন্বয় কমিটির সভাপতি দেবাশীষ চক্রবর্তী গ্রাম থেকে শহরমুখী এই রক্তদান আন্দোলনের প্রসারে জোর দেওয়ার জন্য সমস্ত রক্তদাতা সংগঠনগুলিকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments