সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ- আর ২৪ ঘণ্টাও বাকি নেই, স্থলভাগে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় দানা। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আজ মধ্যরাতে সর্বশক্তি নিয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে চলেছে দানা। ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারার মধ্যে ল্যান্ডফল হওয়ার কথা এই প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের।
এদিকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে বুধবার থেকে নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি হতে পারে এমন কোন পূর্বাভাস আবহাওয়া দপ্তরের ছিলো না। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যে ছটার পরে আসানসোল শহর তথা গোটা শিল্পাঞ্চল জুড়ে বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। কোথাও জোরে ও কোথাও বা ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হয়। সাথে শুরু হয় দমকা হাওয়া।
ইতিমধ্যে ” দানা” নিয়ে আগাম সতর্কতা অবলম্বন করেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। জেলাশাসক এস পোন্নাবলম নিজে জেলা ও মহকুমা স্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। এই প্রসঙ্গে এদিন সন্ধ্যায় জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক ( জেনারেল) সিরাজ দানিশ্বর বলেন, “বুধবার থেকে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি হতে পারে এমন কোন পূর্বাভাস আবহাওয়া দপ্তর দেয়নি। তবে বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার এর প্রভাব পড়তে পারে, ধরে নিয়ে আগাম সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। জেলার তরফে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। মহকুমাশাসক ও বিডিওদের মাধ্যমে এলাকায় নজরদারি করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ দপ্তর ও স্বাস্থ্য দপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। জেলাশাসক সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দুর্যোগ এড়াতে জেলা প্রশাসনের তরফে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। দমকা হাওয়ার গতি কখনও কখনও ১২০ কিলোমিটারও হতে পারে।বুধবার রাত থেকেই ওড়িশার উপকূলবর্তী এবং উত্তরের জেলাগুলিতে দুর্যোগ শুরু হয়েছে। উত্তাল রয়েছে সমুদ্রও। এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায় আকাশের মুখ ভার। কোথাও কোথাও শুরু হয়েছে বৃষ্টি।
অন্যদিকে, ডিভিসি সূত্রে জানা গেছে বুধবার সন্ধ্যা সাতটার সময় মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধারে যথাক্রমে ৪৮৬ ও ৪১১ ফুট জল ছিল। এই দুই জলাধারে জল ধরে রাখার সর্বোচ্চ ক্ষমতা যথাক্রমে ৪৯৫ ও ৪২৫ ফুট। আসানসোল শিল্পাঞ্চল ও ঝাড়খণ্ড এলাকায় বৃষ্টি হলে স্বাভাবিক ভাবেই জল ছাড়ার পরিমান বাড়াবে ডিভিসি।