সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ- এবার পুলিশ ও পুরসভার কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় আমজনতা এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয় ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণুপুর পুরসভার ময়রা পুকুর এলাকায়। সুত্র মারফত জানতে পারা যায়, বিষ্ণুপুর পুরসভার নোংরা আবর্জনা ফেলার জন্য ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জায়গা চিহ্নিত করতে গিয়েছিল পুরসভা। আর সেই জায়গা চিহ্নিত করে ঘেরা দিতে গিয়ে ফের বিপাকে পড়ল পুরসভা ও পুলিশ। আজ পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বিষ্ণুপুর পুরসভার কর্মীরা স্থানীয় বেলশুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ময়রাপুকুর এলাকায় প্রস্তাবিত ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জায়গা ঘেরা দিতে গেলে ঘটে বিপত্তি, বাধা দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপরই পুলিশ ও পুরকর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় স্থানীয়দের এই ঘটনাকে কেন্দ্র এলাকায় তৈরী হয় ব্যাপক চাঞ্চল্য। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠি চার্জ করে বলে অভিযোগ উঠছে। তারপরেও পিছু হটেনি গ্রামবাসীরা। শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে বাধ্যহয় পুলিশ ও পুসভার কর্মীরা। বিষ্ণুপুর পুরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ড নিয়ে এই সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। নিজস্ব ডাম্পিং গ্রাউন্ড না থাকায় বিষ্ণপুর শহরের নোংরা আবর্জনা ফেলা নিয়ে সমস্যা ক্রমশই তিব্র আকার নিচ্ছে।আর এর ফলেই বিষ্ণুপুর জুড়ে যত্র তত্র জমছে নোংরা আবর্জনা। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সেই সাধারণ মানুষকেই। বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বিষ্ণুপুর পুরসভাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশ মতো আজ বিষ্ণুপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় ময়রাপুকুর গ্রাম লাগোয়া একটি জায়গাকে ডাম্পিং গ্রাউন্ড হিসাবে চিহ্নিত করে তা টিনের বেড়া দিয়ে ঘেরার কাজ শুরু করে বিষ্ণুপুর পুরসভা। বিষয়টি নজরে আসতেই ময়রাপুকুর গ্রামের মানুষ লাঠি সোটা নিয়ে বাধা দেয়। শুরু হয় পুরকর্মী ও পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হন পুলিশ। কিন্তু তারপরেও কিছু ঘটেনি গ্রামবাসীরা অবশেষে বাধ্য হয়েই ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যায় পুলিশ ও পুরসভার কর্মীরা। তবে ডাম্পিং গ্রাউন্ড নিয়ে সমস্যা রয়েই গেল এই সমস্যা কবে সমাধান হবে তার প্রশ্ন অজানা।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে ডাম্পিং গ্রাউন্ড জায়গা চিহ্নিত করতে গিয়ে দফায় দফায় জনতা পুলিশ সংঘর্ষ বিষ্ণুপুরের ময়রাপুকুর এলাকায়
RELATED ARTICLES