eaibanglai
Homeএই বাংলায়ফলতার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কবিগুরু স্মরণ

ফলতার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কবিগুরু স্মরণ

সূচনা গাঙ্গুলি,ফলতাঃ- বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী, এলাকার কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি, অভিভাবক-অভিভাবিকা সহ রবীন্দ্রপ্রেমী অন্যান্যদের উপস্থিতিতে গত ৯ ই মে যথাযোগ্য মর্যাদা সহকারে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার গর্ব ফলতা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পালিত হলো কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩ তম জন্মবার্ষিকী।

এই বিশেষ দিনে সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছিল বিদ্যালয় প্রাঙ্গন। যদিও বহিরঙ্গ ও অন্তরঙ্গে এমনিতেই যেকোনো কর্পোরেট বিদ্যালয়ের ঈর্ষার কারণ হয়ে উঠবে বিদ্যালয়টি। যাইহোক এরপর বর্তমান ও প্রাক্তনদের যুগলবন্দীতে অপূর্ব প্রদর্শনের সাক্ষী হওয়ার সুযোগ পেল উপস্থিত দর্শকরা। রবীন্দ্র সঙ্গীত, আবৃত্তি, রবীন্দ্র সঙ্গীতের ছন্দে তাল মিলিয়ে নৃত্য – সবমিলিয়ে এক অসাধারণ দৃশ্যের সৃষ্টি হলো মর্ত্যের মঞ্চে। এরসাথে ছিল রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মননশীল আলোচনা যা শ্রোতাদের হৃদয় স্পর্শ করে যায়।

দুই শিক্ষিকা লিপিকা করণ ও প্রীতি ম্যাডামের তত্ত্বাবধানে এবং দিয়া প্রামাণিক ও সুইটি জানার অসাধারণ উপস্থাপনার গুণে সবকিছুকে ছাপিয়ে যায় ‘চন্দ্রালিকা’। চিরপরিচিত দৃশ্য চোখের সামনে সজীব হয়ে ওঠে। দুই প্রাক্তন ছাত্রী মীনাক্ষী নস্কর (পঞ্চম শ্রেণি) ও আত্রেয়ী নস্কর (দ্বাদশ শ্রেণি) ফেলে আসা বিদ্যালয় জীবনের মতই উজ্জ্বল ছিল। প্রসঙ্গত বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন চালু রেখে এই বিদ্যালয় প্রতিটি মনীষীর জন্ম বা মৃত্যুদিন পালনের মধ্যে দিয়ে তাঁদের জীবনাদর্শ ছাত্রছাত্রীদের সামনে তুলে ধরে জেলার মধ্যে এক অনন্য নজির সৃষ্টি করে চলেছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের শিক্ষা সেলের সভাপতি দেবব্রত সাহা, শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ আতিকুল্লা মোল্লা সহ আরও অনেকেই।

প্রধান শিক্ষক তিলক নস্কর বললেন – বিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা সর্বদা একটা ‘টিম’ হিসাবে কাজ করি। শুধু তাই নয় বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরাও ছুটে আসে। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন অভিভাবকরা। তাইতো এইসব বাচ্চারা অসাধারণ পারফরম্যান্স উপহার দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। আগামী দিনেও তিনি প্রত্যেককে পাশে থাকার আহ্বান জানান।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments