মনিষা ধোঁক,ফলতাঃ- বারবার নিজেদের ব্যতিক্রম ভূমিকা পালন করে চলেছে বিখ্যাত বিজ্ঞানী আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর স্মৃতিধন্য দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার ফলতা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়। শুধু ছাত্রছাত্রীদের প্রতি নয় সমাজের প্রতিও যথাযথ গুরুত্ব সহকারে নিজেদের দায়িত্ব তারা পালন করে চলেছে।
বিশ্বউষ্ণায়নের দাপটে বর্তমান বছরে গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রা বিপজ্জনক মাত্রায় পৌঁছে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে সতর্ক নাহলে আগামী বছর তাপমাত্রা এমন এক জায়গায় পৌঁছে যাবে যেটা জীবজগতের অস্তিত্বের পক্ষে বিপদ সংকেত হিসাবে দেখা দেবে। একমাত্র উপায় বৃক্ষরোপণ করা।
এদিকে বাংলার বুকে চলছে মৌসুমী বায়ুর প্রভাব। বৃক্ষরোপণের আদর্শ সময়।বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ অর্থাৎ ১ থেকে ৭ তারিখ পর্যন্ত বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ পালন করছে সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়টি।
৫ ই জুলাই হলো জাতীয় বৃক্ষরোপণ দিবস। যথাযথ মর্যাদা সহকারে দিনটি পালন করার জন্য বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের হাতে প্রায় সাড়ে চার শতাধিক আম,লেবু,পেয়ারা, জামরুল সহ বিভিন্ন ফলের চারগাছ তুলে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয় বৃক্ষরোপণের পদ্ধতি ও সার্থকতা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সঙ্গে তাদের অভিভাবকদের পরামর্শ দেওয়া হয়। এই বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ফলতা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তিলক নস্কর বললেন – পাঠ্য পুস্তকের বাইরেও যে আরও জানার আছে সেটা আমরা শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করি। শুধু তাই নয়, বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব সম্পর্কে অভিভাবকদের একটা ভূমিকা আছে। তাইতো অভিভাবকদের হাতে চারাগাছগুলি তুলে দিই এবং রোপণ করার পর সেগুলির প্রতি যথাযথ যত্ন নেওয়ার জন্য অনুরোধ করি।
ফলতা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করে সংশ্লিষ্ট সার্কেলের এস.আই (শিক্ষা) পিয়ালী বড়ুয়া বললেন – এই সার্কেলের প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় যাতে বৃক্ষরোপণ করার জন্য তাদের ছাত্রছাত্রীদের উজ্জীবিত করে তার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। আমাদের বিশ্বাস এইসব শিশুদের হাত ধরেই পরিবেশ দূষণ মুক্ত হবে।