সন্তোষ কুমার মণ্ডল, আসানসোলঃ– দূষণের জেরে জেরবার তিনটি গ্রামের প্রায় কয়েকশো গ্রামবাসী। ঘটনা রানিগঞ্জের বক্তারনগর এলাকার। অভিযোগ এলাকার একটি বেসরকারি স্পঞ্জ আয়রন কারখানা দূষণ নিয়ন্ত্রনের আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিয়মিত দূষণ ছড়িয়ে চলছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্দিষ্ট যন্ত্র না চালানোয় দূষিত হচ্ছে বক্তার নগরের বিস্তীর্ণ এলাকা সহ পলাশবন ও বাবুশোল অঞ্চল। দূষণের জেরে বাড়ির ছাদ থেকে শুরু করে কুয়োর জল পুকুরের জল সর্বত্রই কালো আস্তরণে ঢেকে গিয়েছে। দূষণ এমনই মাত্রাতিরিক্ত ভাবে ছড়াচ্ছে যে মানুষের টিকে থাকা দুষ্কর হচ্ছে। এলাকার বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, বিশেষত শিশু ও বৃদ্ধরা। তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দূষণ জনিত নানান রোগব্যাধি। এমনকি এলাকাবাসীর দাবি চিকিৎসকরা তাদের ওই এলাকা ছেড়ে অন্যত্র বসবাসের উপদেশ দিচ্ছেন। ফলে রীতিমতো আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের।
এদিন দূষণ বন্ধের দাবিতে একজোট হয়ে সরব হন এলাকার তিনটি গ্রামের বাসিন্দারা। ওই স্পঞ্জ আয়রণ কারখানার গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কয়েকশো মানুষ। অবিলম্বে দূষণ বন্ধের দাবি জানাতে থাকেন তারা । অন্যথায় লাগাতার বিক্ষোভ আন্দোলন ও ধর্নায় বসার হুঁশিয়ারি দেন গ্রামবাসীরা।
প্রসঙ্গত, বক্তার নগরের দূষণ সমস্যা এই প্রথম নয়। এর আগেও বহুবার দূষণের জন্য বিক্ষোভ আন্দোলন করতে দেখা গেছে গ্রামবাসীদের। বহু ক্ষেত্রে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীরাও এই দূষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী। যদিও পুরো বিষয়টি নিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।