নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ লোকসভা ভোটের পর ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় অতিবাহিত হলেও ভোট পরবর্তী হিংসা থামছে না অন্ডাল এলাকায়। এবার বিজেপিকে ভোট দেওয়ার অপরাধে এক বিজেপি সমর্থককে মারধর ও তার গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে। ঘটনা অন্ডালের দক্ষিণখন্ড গ্রামের ধর্মরাজ মন্দির এলাকার। বিজেপি সমর্থকের বাইক ও তার ব্যবসার ঠেলাগাড়ি ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে তার পরিবার। ঘটনায় ওই পরিবারের তরফে স্থানীয় তৃণমূল নেতা স্বপন হাজরার দিকে আঙুল তোলা হয়েছে। অভিযোগকারিণী গায়ত্রী গড়াই জানান, অন্যায়ভাবে তাদের পরিবারের সদস্যদের মারধর করা হচ্ছে, হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এখানেই থেমে না থেকে গাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে। গায়ত্রী দেবীর মা রিতা গড়াই জানান, ঘরের সামনে ছোটখাটো তেলেভাজার ব্যবসা করে সংসার চলে তাদের। অথচ ভোটের পর থেকে বেমালুম তৃণমূল কংগ্রেসের লোকেরা তাদের হেনস্থা করছে। অন্যদিকে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা স্বপন হাজরা তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। শুধু অন্ডালেই নয়, সোমবার দুর্গাপুর-বর্ধমান লোকসভা কেন্দ্রে ভোটের পর থেকেই অন্ডাল, লাউদোহা, আমরাই, কাঁকসা দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। যেমন, ভোটপর্ব পেরোতে না পেরোতেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠেছে অন্ডালের সিদুলি ৫ নং এলাকায়। ঘটনায় তিনজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনার পর এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে বোমাবাজির ঘটনার পর এলাকায় প্রচুর পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। অন্যদিকে লাউদোহার ইছাপুরে তৃণমূল পার্টি অফিসে বোমা বাজির অভিযোগ ওঠে। ফরিদপুর ব্লকের ব্লক সভাপতি সুজিত মুখার্জির অভিযোগ ভোট শেষ হতে না হতেই বিজেপি নিয়ন্ত্রিত দুষ্কৃতীরা এলাকায় বেছে বেছে তৃণমূলীদের হুমকি এবং বোমাবাজি করছে। অপরদিকে স্থানীয় বিজেপি নেতা কার্তিক হালদারের অভিযোগ সোমবার ভোটের সকাল থেকেই তৃণমূল কর্মীরা বিজেপি কর্মীদের নানাভাবে হেনস্থা করেছে, ভোটের পরে এলাকায় বোমাবাজি করার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। একই ঘটনা ঘটেছে দুর্গাপুরের বারো নম্বর ওয়ার্ডের আমরাই গ্রামেও। সেখানে ভোট পরবর্তী হিংসার জেরে দুই বিজেপি কর্মীর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমরাই গ্রামে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস থেকে বাদ যায়নি কাঁকসাও। নির্বাচন শেষ হতেই একের পর এক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে কাঁকসাতেও। সোমবার রাতে কাঁকসার মোল্লাপাড়ায় কাঁকসা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সিপিআইএম প্রধানের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে। বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুঠপাটের পাশাপাশি বাড়ির সদস্যদের হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। দুটি বাড়িতে ভাঙচুরের পাশাপাশি একটি দোকানেও ভাঙচুরের ও লুঠপাট চালানোর অভিযোগ উঠেছে। যদিও স্থানীয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বুধবারও সেই ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত।