নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ চতুর্থ দফার ভোট শেষ, অপেক্ষা পঞ্চম দফার। কিন্তু চতুর্থ ভোট চলাকালীন এবং ভোট পরবর্তী রাতভর শিল্পশহরের বিভিন্ন প্রান্তে যে হিংসার ছবি ক্যামেরায় ধরা পড়ল তা মোটেই শিল্পশহরবাসীর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। অন্ডাল, লাউদোহা, আমরাই, কাঁকসা সোমবার ভোট চলাকালীন এবং ভোটের পর রাতভর দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। যেমন, ভোটপর্ব পেরোতে না পেরোতেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠল অন্ডালের সিদুলি ৫ নং এলাকায়। শাসকদলেরই এক পক্ষের অভিযোগ একদল তৃণমূল দুষ্কৃতি আচমকায় রাত ১১টা নাগাদ অতর্কিতে তাদের ওপর হামলা চালায়। ঘটনায় তিনজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনার পর এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে বোমাবাজির ঘটনার পর এলাকায় প্রচুর পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। অন্যদিকে লাউদোহার ইছাপুরে তৃণমূল পার্টি অফিসে বোমা বাজি। ঘটনায় অভিযোগের তির বিজেপির দিকে।ফরিদপুর ব্লকের ব্লক সভাপতি সুজিত মুখার্জির অভিযোগ ভোট শেষ হতে না হতেই বিজেপি নিয়ন্ত্রিত দুষ্কৃতীরা এলাকায় বেছে বেছে তৃণমূলীদের হুমকি এবং বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে স্থানীয় বিজেপি নেতা কার্তিক হালদারের অভিযোগ সোমবার ভোটের সকাল থেকেই তৃণমূল কর্মীরা বিজেপি কর্মীদের নানাভাবে হেনস্থা করেছে, ভোটের পরে এলাকায় বোমাবাজি করার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। একই ঘটনা দুর্গাপুরের বারো নম্বর ওয়ার্ডের আমরাই গ্রামে। সেখানে ভোট পরবর্তী হিংসার জেরে দুই বিজেপি কর্মীর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমরাই গ্রামে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। অভিযোগের তির স্থানীয় তৃণমূল নেতা আজিম উদ্দিন ও তার দলবলের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠলে এসিপি আশিস বিলানের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস থেকে বাদ যায়নি কাঁকসাও। নির্বাচন শেষ হতেই একের পর এক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে কাঁকসাতেও। সোমবার রাতে কাঁকসার মোল্লাপাড়ায় কাঁকসা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সিপিআইএম প্রধানের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে। বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুঠপাটের পাশাপাশি বাড়ির সদস্যদের হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। দুটি বাড়িতে ভাঙচুরের পাশাপাশি একটি দোকানেও ভাঙচুরের ও লুঠপাট চালানোর অভিযোগ উঠেছে। যদিও স্থানীয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।