সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ- শীতকালীন অর্থকরী ফসলের মধ্যে আলু অন্যতম। সারাবছর চাষিরা এই আলুচাষের দিকে তাকিয়ে থাকেন। কেননা আলু চাষ করে সব থেকে বেশি পয়সা ঘরে ওঠে চাষীদের। কিন্তু এবছর আলুর দাম থাকলেও মাথায় হাত চাষীদের, কেননা বিঘার পর বিঘা আলু জমিতে ধসার কারনে আলু গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে যার ফলে জমিতে আলুর ফলন হয়েছে কম। বাঁকুড়া জেলার জয়পুর ব্লকের বেশ কিছু এলাকা রাজমহল, পদমপুর, কলাবনি সহ বিভিন্ন মৌজার আলুচাষিদের আলু গাছ মাঠেই নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চাষিদের মাথায় হাত।নিরঞ্জন মালাকার আলুচাষি দাবি করেন, আলু জমিতে ওষুধ দিয়েও কোন প্রকার কাজে লাগছে না। মাঠের মধ্যে ধসা রোগে সমস্ত আলু নষ্ট হয়ে গেছে। তারা সরকারী সাহায্য ও বীমার দাবি জানিয়েছেন ধারদেনা করে রাসায়নিক সার, কীটনাশক ঔষধ, চড়া দামে আলু বীজ কিনে এবং রোটার দিয়ে চাষ দিয়ে ও মজুরি খাটিয়ে বহু টাকা খরচা করেছেন আলু চাষের জন্য। যদি তাদের সরকারি সাহায্য এবং বীমা ব্যবস্থা করার দাবি জানান। জয়পুর ব্লকের অধিকর্তা অরিত্র দত্ত বলেন, জয়পুর ব্লকে জ্যোতি আলুর জমির এরিয়া ৬,২৫০ হেক্টর। তিনি আরও বলেন, যত দিন যাচ্ছে ধসা রোগের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। এই রোগের কারণ হিসাবে বলেন ঘন কুয়াশা ও এক মাসের বৃষ্টির ফলে ধসা রোগ থেকে ফসলকে কীটনাশক ঔষধ দিয়েও বাঁচানো যাচ্ছে না। এবং যে সকল চাষি বীমার আউতায় আছে তাদের ক্ষতিপূরন যেন সরকারের কাছে পায় তার ব্যাবস্তা করবেন।