সঙ্গীতা চ্যাটার্জী:- ১৪ ই ফেব্রুয়ারি ছিলো সরস্বতী পুজো,এই দিন বিদ্যার দেবী, জ্ঞানের দেবী সরস্বতী বীণারঞ্জিত পুস্তক হস্তে মর্ত্যে এসেছিলেন মর্ত্য বাসীর পুজো নিতে। শিক্ষা মানে অন্ধকার থেকে আলোই উত্তীর্ণ হওয়া, অন্ধকার থেকে আলোর পথের এই যাত্রা মোটেই সহজ নয়,কারণ এই আলোর কাছে পৌঁছোতে আমাদের অনেক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। পড়বো মনে করলেই দুম করে আমরা পড়তে পারি না, পড়া লেখা করবার জন্য সরঞ্জাম লাগে আর এই সরঞ্জাম গুলো কিনবার জন্য লাগে অর্থ,তাই সরস্বতী পুজোর দিন একদিকে যেমন দেখা যায় কচিকাঁচাদের নতুন করে হাতে খড়ি হয়,তেমনি অনেক শিশুই অর্থের টানে অভাবে পড়ে নিজের পড়াশোনা ছেড়ে দোকানে কাজ করতে ছোটে আবার এই দিনেই নদীয়ার নবদ্বীপের একটি ফাউন্ডেশনের তরফ থেকে আদিবাসী গ্রামের কচিকাঁচাদের তুলে দেওয়া হয় বিদ্যার কিছু সরঞ্জাম। এই ভাবেই আলো-আঁধারিতে কেটে যায় বিদ্যার দেবী মা সরস্বতীর আরাধনার দিন।
নবদ্বীপের পৃথিবী ফাউন্ডেশন সরস্বতী পুজো উপলক্ষে রাওতারা আদিবাসী গ্ৰামে ছোট্ট ছোট্ট কচিকাঁচাদের খাতা ও পেন বিতরণ করে সরস্বতী পুজোর দিন। এইদিন মোট ৬৫ জন ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে বিতরণ করা হয় শিক্ষা সামগ্রী। পড়ালেখার জন্য খাতা ও পেন পেয়ে ছোট ছোট মুখগুলো আনন্দে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।