eaibanglai
Homeএই বাংলায়বিশ্বভারতীর মোবাইল কান্ডে অভিযুক্ত বহিস্কৃত ছাত্রের বাড়িতে এলেন অধ্যাপকদের একটি দল বাকুঁড়ায়

বিশ্বভারতীর মোবাইল কান্ডে অভিযুক্ত বহিস্কৃত ছাত্রের বাড়িতে এলেন অধ্যাপকদের একটি দল বাকুঁড়ায়

সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ- প্রজাতন্ত্র দিবসের সকালে পতাকা উত্তোলনের পর বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ কুমার চক্রবর্ত্তীর বক্তব্য মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানোর ‘অপরাধে’ পূর্ব পল্লীর এক হোষ্টেল থেকে বহিস্কৃত ছাত্রের বাড়িতে এলেন ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের একটি দল। শনিবার বিশ্বভারতীর বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র বিজ্জু সরকার নামে ঐ ছাত্রের বাড়ি বাঁকুড়ার পাত্রসায়রের টাসুলী গ্রামে আসেন। কথা বলেন ঐ ছাত্র ও তার পরিবারের সঙ্গে। এমনকি শান্তিনিকেতনে থেকে পড়াশুনার যাবতীয় খরচ চালানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হোস্টেল ছাড়ার নির্দেশের পর একেবারে প্রান্তিক পরিবার থেকে উঠে আসা বিজ্জু সরকার প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি। এদিনও সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের হাজারো অনুরোধেও ঐ বিষয়ে একটি শব্দও খরচ করেনি সে। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানোর অভিযোগে হোষ্টেল থেকে বহিস্কৃত ঐ ছাত্রের পাশে ওখানকার ছাত্র সংগঠন গুলি আগেই পাশে দাঁড়িয়েছিল। এবার সরাসরি গ্রামে এসে অধ্যাপকদের পাশে দাঁড়ানোয় আশার আলো দেখছেন বিজ্জু সরকারের পরিবার। এদিন ঐ বিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বিজ্জু সরকার ও তার বাবা ভূবন সরকারকে পাশে বসিয়ে তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ভবিষ্যতের জন্য কোন চিন্তা নেই। আমরা সমস্ত অধ্যাপকরা তোমার পাশে রয়েছি। এবং পড়াশুনার সমস্ত খরচ তারাই বহন করবেন’ একই সঙ্গে ‘বিতর্কিত’ ভিডিও প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তুমি কোন অন্যায় করোনি। যিনি অন্যায়ের কথা বলছেন দোষটা তার। ঐ ছাত্রের বাবা ভূবন কর্মকার বলেন, বিশ্বভারতীর অধ্যাপকরা তাদের বাড়িতে এসেছিলেন। তারা ছেলের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এই অবস্থাতে তিনি কোন বিতর্কে যেতে চাননা জানিয়ে বলেন, ছেলে যেমন পড়াশুনা করে মানুষ হতে পারে সেই ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে আবেদন রেখেছেন।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments