জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, জালপাড়া, পূর্ব বর্ধমান-: আফসোস থাকাটাই স্বাভাবিক। ব্লকের ১৫ টা অঞ্চলের মধ্যে ১৪ টা অঞ্চলে দল এগিয়ে থাকলেও গত তিনটে নির্বাচনে একমাত্র পেছিয়ে আছে চাণক অঞ্চলে। অথচ দলমত নির্বিশেষে এলাকার প্রতিটি বাসিন্দা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জীর স্বপ্নের প্রতিটি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। ক্যানো এই ঘটনা ঘটছে? বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই আফসোস ঝরে পড়ে স্থানীয় বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরীর কণ্ঠে। দলের মধ্যে থাকা গদ্দার যারা নিজের দলকে হারাচ্ছে তাদের চিহ্নিত করার নিদান দেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন, কল্পনা ও বাস্তবের মধ্যে ফারাক অনেক। তাই দলকে জেতাতে হলে এখন থেকেই রাজ্য সরকার প্রবর্তিত বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পকে সামনে রেখে বাড়ি বাড়ি প্রচারে যেতে হবে। পাশাপাশি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থীকে ৬০ হাজার মার্জিনে জেতানোর জন্য তিনি দলীয় কর্মীদের শপথ নেওয়ার আহ্বান জানান।
এর আগে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ক্ষীরগ্রামের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি সেখ মাসাদুর রহমান বলেন গত তিনটি নির্বাচনে এই অঞ্চলে দলের জয় নাই। কারণ খুঁজে বার করে জয়ের পথে ফিরতেই হবে। তিনি উপস্থিত দলীয় কর্মীদের সামনে একাধিক প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন।
দলের পরামর্শ মেনে ১১ ই নভেম্বর চাণক অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জালপাড়া বাসস্ট্যান্ডে এক বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করা হয়। দলের পক্ষ থেকে প্রতিটি বক্তা উপস্থিত দলীয় কর্মী সহ চাণকবাসীকে বিজয়ার পাশাপাশি দীপাবলী ও ছটপুজোর শুভেচ্ছা জানান।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মঙ্গলকোট ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি রামকেশব ভট্টাচার্য্য, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সান্ত্বনা গোস্বামী, পঞ্চায়েত সমিতির একাধিক কর্মাধ্যক্ষ, জেলা পরিষদের সদস্যা নূরনাহার খাতুন, চাণক পঞ্চায়েত প্রধান সরস্বতী কোঁড়া, অঞ্চল সভাপতি সেখ রমজান এবং মঙ্গলকোটের জনপ্রিয় বিধায়ক তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির চেয়ারম্যান অপূর্ব চৌধুরী সহ অসংখ্য তৃণমূল কর্মী। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের যথাযোগ্য মর্যাদা সহকারে বরণ করা হয়।
বিজেপি ও সিপিএমের তীব্র সমালোচনা করে প্রতিটি বক্তা আসন্ন বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্রে আরও বেশি মার্জিনে দলীয় প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করার জন্য রাজ্য সরকার প্রবর্তিত বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পকে সামনে রেখে দলীয় কর্মীদের বাড়ি বাড়ি প্রচারের পরামর্শ দেওয়া হয়। সম্মেলনে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। সম্মেলনে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগ দেন। তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিধায়ক।