eaibanglai
Homeএই বাংলায়স্ত্রীর মৃত্য়ুশোকে স্বামীর মরণঝাঁপ, ভাইরাল রোমহর্ষক ভিডিও

স্ত্রীর মৃত্য়ুশোকে স্বামীর মরণঝাঁপ, ভাইরাল রোমহর্ষক ভিডিও

নিজস্ব সংবাদদাতা,পুরুলিয়াঃ- আতশবাজির প্রদর্শনী দেখতে গিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বাড়ির কার্নিশ ভেঙে স্ত্রীর মৃত্যুশোকে বিদ্যুতের তার জড়িয়ে মরণঝাঁপ দেন স্বামী। ঘটনায় মৃত্যু হয় তাঁরও। অন্যদিকে ওই মরণ ঝাঁপের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাছাই করেনি এই বাংলায় ওয়েব পোর্টাল।

পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় মৃত মহিলার নাম সোনালি ধীবর, বয়স ৪২ বছর। তাঁর স্বামীর নাম মোহন ধীবর, বয়স ৫১ বছর । তাঁদের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের বোকারো জেলার ঝরিয়াতে। সম্প্রতি পুজোয় তাঁরা পুরুলিয়া শহরের রাসমেলার বাসিন্দা আত্মীয়া মিঠু ধীবরের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। এই বাড়ির পাশেই হয় জেলেপাড়া সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির দুর্গাপুজো। ফি বছর দ্বাদশীতে ওই পুজো কমিটি আতসবাজি প্রদর্শনীর আয়োজন করে। প্রতি বছরের মতো এ বছরেও আতশবাজি প্রদর্শনের মাধ্যমে মায়ের জাঁকজমকভাবে বিসর্জনের আয়োজন করা হয়েছিল। এবার সেই প্রদর্শনী দেখতে ভিড় হয়েছিল অন্যবারের চেয়ে বেশ বেশি। মানুষজন বাড়ির ছাদ, কার্নিশ এবং ব্যালকনি থেকে প্রদর্শনী দেখছিলেন। সেই সময় আচমকা মিঠু ধীবরের বাড়ির ব্যালকনি ভেঙে বেশ কয়েকজন পড়ে যান ও জখম হন। সেখানে উপস্থিত পুলিশ ও দমকল কর্মীরা তড়িঘড়ি আহতদের উদ্ধার করে দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসকরা সোনালি ধীবরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় জখম হন ওই বাড়ির মালিক মিঠু ধীবরও। অন্যদিকে স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনতলা থেকে ঝাঁপ দেন মোহন ধীবর।

রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি জখমদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আতসবাজি প্রদর্শনীর সময় ব্যালকনি ভেঙে এক মহিলার মৃত্যু হয়। আর সেই শোকে তাঁর স্বামীও ঝাঁপ দেন বলে প্রাথমিকভাবে একটি ভিডিও থেকে বোঝা যাচ্ছে। তিনিও মারা গিয়েছেন। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

অন্যদিকে ঘটনার পর সেখানে যান পুরুলিয়ার পুরপ্রধান নবেন্দু মাহালি, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো, পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাতো, বাঘমুন্ডির তৃণমূল বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো-সহ দলের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা দেবেন মাহাতো হাসপাতালেও যান ও আহতদের খোঁজখবর নেন।

এলাকার মানুষজন জানিয়েছেন, ওই বাড়ির ব্যালকনি আগে থেকেই দুর্বল ছিল। তার উপর একসাথে প্রচুর লোক ব্যালকনিতে জড়ো হয় আতসবাজি প্রদর্শনী দেখতে। তার জেরেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে যায়।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments