eaibanglai
Homeএই বাংলায়পুরুলিয়ায় কাটমানি কান্ডে প্রাক্তন জেলাশাসক ও জেলা সভাধিপতির "ঠান্ডা লড়াই"

পুরুলিয়ায় কাটমানি কান্ডে প্রাক্তন জেলাশাসক ও জেলা সভাধিপতির “ঠান্ডা লড়াই”

নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর থেকে কাটমানি ইস্যু বর্তমানে রাজ্যের প্রধান এবং আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে। প্রত্যেক দিন রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কাটমানি কান্ডকে কেন্দ্র করে নতুন নতুন বিতর্ক দানা বাঁধছে। যা ক্রমশ আরও ব্যাকফুটে ঠেলে দিচ্ছে শাসকদলকে। ঠিক যেমনটা এবার ঘটল পুরুলিয়া জেলায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া নির্দেশকে হাতিয়ার করে কাটমানি ফেরতের ঘোষণাকে বহাল করতে পুরুলিয়া জেলায় শাসকদলের বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে নামল বিজেপি| জেলাশাসক সহ প্রতিটি ব্লকের বিডিওকে স্মারক লিপিও তুলে দেওয়া হল বিজেপির তরফে। বিজেপির অভিযোগ, পুরুলিয়া জেলার সার্বিক উন্নয়নের জন্য সরকারি তরফে বরাদ্দ অর্থ থেকে শাসকদলের একাধিক জেলা নেতৃত্ব কাটমানি নিয়েছে। ঘটনার শুরু থেকে জানা গেছে ২০১৮ সালের অক্টোবর মাস নাগাদ পুরুলিয়া জেলার সার্বিক উন্নয়নের জন্য ৪০ কোটি টাকা সরকারি তরফে বরাদ্দ হয়| এরপর জেলার উন্নয়নের কাজ শুরু করতে জারি করা হয় বিজ্ঞপ্তি। আর সরকারি উন্নয়নের এই ৪০ কোটি টাকাকে কেন্দ্র করেই ব্যাপক দূর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয় বিজেপি। অভিযোগ ওঠে ৪০ কোটি টাকার টেন্ডারে ১০ শতাংশ কাটমানি আত্মসাৎ করেছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় ব্যানার্জি, এক আমলা ও তৃণমূল ঘনিষ্ঠ এক সাংবাদিক। এই অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছাতেই মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত ঘটনার পূর্নাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেন প্রাক্তন জেলা শাসক তথা বর্তমান পঞ্চায়েত দপ্তরের কমিশনার অলোকেশ প্রসাদ রায়কে। আর এই ঘটনার পরেই ব্যাপক চাপে পড়ে পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন ডাকেন অভিযুক্ত জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় ব্যানার্জি। তাঁর অভিযোগ, জেলা পরিষদকে কালিমা লিপ্ত করতে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন প্রাক্তন জেলাশাসক অলোকেশ প্রসাদ রায়। এখানেই থেমে না থেকে তিনি জানান, জেলার উন্নয়নের বিজ্ঞপ্তি জারির সময় তাঁর নির্দেশেই টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর হাতে টেন্ডারের যাবতীয় নথি তুলে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তদন্ত করে দেখুন, দোষ প্রমাণিত হলে সভাধিপতির পদ ছেড়ে দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন তিনি। বিজেপির তরফে দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই তদন্তের দাবি জানিয়ে ঘটনআর সত্যতা জানার দাবি জানানো হয়েছে। তবে জেলায় কাটমানি কান্ডে শাসকদলের দুই যুযুধান নেতৃত্বের ঠান্ডা লড়াই ফের যে তৃণমূলের অন্দরে অস্বস্তি বাড়িয়েছে তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments