সংবাদদাতা, পুরুলিয়া:- সংবাদমাধ্যমের কন্ঠ রোধ করার চেষ্টা!সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে পোস্টার পুরুলিয়া জেলার বলরামপুর ব্লকের বাঁশগড় হাসপাতালে। হাসপাতালের চরম অব্যবস্থা নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে ভর্ৎসিত হয়েছিলেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক। সেই খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হতেই বিএমওএইচ ডাক্তার সৌমেন মন্ডলের উদ্যোগে ওই পোস্টার লাগানোর অভিযোগ উঠেছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বলরামপুরের বাঁশগড় হাসপাতাল পরিদর্শনে এসেছিল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের একটি প্রতিনিধি দল। সেই দলে ছিলেন জয়েন্ট ডিএইচএস ডাক্তার অসীম দাস মালাকার। হাসপাতাল চত্বরের চূড়ান্ত অব্যবস্থা এবং পরিষেবার বেহাল দশা দেখে তিনি বিএমওএইচ সৌমেন মন্ডলের ওপর তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন। বৃহস্পতিবার এই খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হতেই বিকেল নাগাদ হাসপাতালের ইনডোর দরজার সামনে একটি পোস্টার লাগানো হয়। তাতে স্পষ্ট লেখা রয়েছে “কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া রিপোর্টারদের হাসপাতালের ইনডোরে প্রবেশ নিষেধ।” যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
রোগীদের গোপনীয়তা রক্ষার খাতিরে বিধিনিষেধ থাকলেও, সামগ্রিকভাবে খবর সংগ্রহে বাধা দেওয়া বা এভাবে পোস্টার সেঁটে ‘ফতোয়া’ জারি করা নজিরবিহীন ও বেআইনি বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। স্থানীয়দের দাবি, হাসপাতালের অন্দরমহলের দুর্নীতি এবং পরিষেবা সংক্রান্ত খামতিগুলি যাতে বাইরে না আসে, তার জন্যই পোস্টার সাঁটিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বলরামপুর বিধানসভার বিধায়ক বানেশ্বর মাহাতো সহ এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের বিশিষ্ট জনেরা। গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভকে এভাবে বাধা দেওয়া আদতে স্বৈরাচারী মানসিকতার লক্ষণ বলেই মনে করছেন তাঁরা।


















