সংবাদদাতা, পুরুলিয়াঃ- ইস্পাত নগরী দুর্গাপুরে ন’ ফুটের অজগর উদ্ধারের রেশ কাটার আগেই ফের ধরা পড়ল পাইথন। এবার প্রমান সাইজের পাইথনটিকে দেখা গেল ভ্যালি কর্পোরেশনের তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভেতর। বৃহস্পতিবার তাই নিয়ে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে ডি ভিসির তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিস্তর চাঞ্চল্য কর্মীদের মধ্যে।
এদিন সকাল সাড়ে ৭ টা নাগাদ দশ ফুটের অজগর টিকে গুটি সুটি মেরে বসে থাকতে দেখেন তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কিছু কর্মী। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা পরিশোধনের জন্য যে ওয়াশারি সেখানেই গুটিয়ে রোদে বসে ছিল বিশালাকার সাপটি। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এক ঠিকা কর্মী সুব্রত মন্ডল ই প্রথম দেখেন অজগরটিকে। খবর যায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা বিভাগ ও স্থানীয় বন দপ্তরে। ছুটে আসেন অনান্য কর্মীরাও। প্রায় আধ ঘন্টার চেষ্টায় লাঠি, রড আর কয়লার গুঁড়ো বইবার প্ল্যাস্টিক ব্যাগের সাহায্যে কোনও রকমে বাগে আনা হয় অজগরটিকে। এক কর্মী বাসুদেব ঘোষ বলেন, “রাগে ফুঁসছিল অজগরটি”। এরপর সেটিকে বেলা সাড়ে ১০ টা নাগাদ বনদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুরুলিয়ার ভারপ্রাপ্ত বনাধিকারিক অঙ্কিতা ভাদুড়ি জানান, “দামোদর লাগোওয়া জেলাগুলির বনাঞ্চলে যথেষ্ট পাইথন রয়েছে। এটি কোনও ভাবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ঢুকে যেতে পারে। তবে, আমার মনে হয়, রানিগঞ্জ কয়লাখনি অঞ্চল থেকে কয়লা বোঝাই রেল ওয়াগনে এটি চলে আসে”। তিনি জানান, “যা বোঝা যাচ্ছে এটির বয়স প্রায় ১২ থেকে ১৬ মাস। এর ওজন ১৫ কেজি”।
গত ৯ অক্টোবর দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর বি জোনে একটি কালীবাড়ির কাছ থেকে একটি ৯ ফুটের অজগর উদ্ধার হয়। গত ১৪ অক্টোবর সেটিকে স্থানীয় কাঁকসার গড় জঙ্গঁলে মুক্ত করা হয়। গত ৪ সেপ্টেম্বর বাকুঁড়ার সোনামুখী থানা এলাকার কোচডিহি গ্রামে ১১ ফুটের একটি পাইথন ধরা পড়ে। আবার ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায়, দামোদর সংলগ্ন সোনামুখী শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় ৮ ফুটের একটি অজগরকে উদ্ধার করা হয়।