শুভদীপ ঋজু মন্ডল, বাঁকুড়া:- ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনের মধ্য দিয়ে বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের সারেঙ্গা ব্লকের বাসুদেবপুর গ্রামে শুরু হল ২৪ প্রহর ব্যাপী অখন্ড রাধানাম সংকীর্তন। বাসুদেবপুর গ্রাম্য ষোল আনার উদ্যোগে গত ৩৩ বছর ধরে চলছে এই নাম সংকীর্তন। এটাই এই গ্রামের সর্ববৃহৎ মিলন উৎসব। নাম সংকীর্তন উপলক্ষ্যে আলোক মালায় সেজে উঠেছে মন্দির প্রাঙ্গণ। সাজানো হয়েছে হয়েছে মূল মঞ্চ যেখানে ভগবান গোপালের মূর্তি আছে। পাশেই ঘূর্ণায়মান মঞ্চে আছে রাধাকৃষ্ণের যুগল মূর্তি এবং পঞ্চতত্ত্ব অর্থাৎ নিতাই, গৌর, অদ্বৈত প্রভু, শ্রীবাস ও গদাধর।
এই ঘূর্ণায়মান মঞ্চ দেখতে কুলডিহা, কাঠগড়া, তাপাবেড়িয়া, পাঁচবেড়িয়া, যাদুরগোড়া, ধরমপুর, বানপুর, নারানপুর, বাগজাতা, সিংনামোহান, চাকনাড়া সহ ১০-১২টি গ্রামের ভক্তরা এখানে ছুটে আসেন। গ্রাম ষোলো আনার পক্ষ থেকে এই উৎসবে গ্রামের সমস্ত বিবাহিত মেয়েদের সপরিবারে নিমন্ত্রণ করা হয়। সকলের জন্য তিন দিন ধরে প্রসাদের ব্যবস্থা থাকে। মা অন্নপূর্ণার রান্নাঘরে একসাথে পাশাপাশি বসে আগত অতিথি ও গ্রামবাসীরা মধ্যাহ্ন ভোজন করেন। তখন এই উৎসব সত্যিকারের মিলন উৎসব হয়ে ওঠে। উদ্যোক্তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন শিবশংকর মন্ডল, চণ্ডীচরণ মন্ডল, উত্তম মণ্ডল, পাপন মন্ডল, দুর্গাদাস মন্ডল, রবীন মন্ডল, নীলকান্ত মন্ডল, মদন মোহন মণ্ডল, সুব্রত মন্ডল, সুমন মন্ডল, পীযূষ কান্তি মন্ডল, গুরুপদ মন্ডল, পার্থ মন্ডল, ডাবলু মন্ডল, সমীর মন্ডল, সুনীল মণ্ডল প্রমুখ।
সুনীল বাবু বললেন – এটা আমাদের গ্রামের চিরাচরিত ঐতিহ্য ও বাৎসরিক মিলন উৎসব। গ্রামের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষজন এই মিলন উৎসবে অংশগ্রহণ করে। আমরা সকলেই একসাথে মিলিত হই এবং প্রসাদ গ্রহণ করি। এবারের উৎসবের মূল ব্রতী হলেন শিবপ্রসাদ মন্ডল এবং পুজোর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন জয়দেব গোস্বামী ও তার সহকারীরা।